করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি উসকে দিল সোমবারের রেল দুর্ঘটনা। ফের একই লাইনে এসে গেল দুটি ট্রেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে এসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। সিগন্যাল বিভ্রাট, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মালগাড়ির চালকের কোনও ত্রুটি ছিল? প্রশ্ন উঠেছে একাধিক।রেলের প্রাথমিক অনুমান, রেড সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক। রেড সিগন্যাল দেখতে না পেয়েই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সঙ্গে একই লাইনে চলে আসে মালগাড়িটি। এরপরেই গাড়িটি সজোরে গিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে ধাক্কা মারে। মালগাড়ির ধাক্কায় খেলনা গাড়ির মতো ট্রেনের একাধিক কামরা উঠে পড়ে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর। ট্রেনের পার্সেল ভ্যান মালগাড়ির ইঞ্জিনের ছাদে উঠে যায়। পিছনের কামরাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

Kanchanjunga express accident: লাইনচ্যুত শিয়ালদা কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, খোলা হল হেল্পডেস্ক

তবে, এখন রেলের যে কোনও ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকে। নির্দিষ্ট কোনও দূরত্বে যদি কোনও ট্রেন বা অন্য কিছু থাকে তখন সেটি কাজ করে। ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। এবার মালগাড়িটির ক্ষেত্রে আদৌ এই ব্যবস্থা ছিল কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের ‘কবজ’ সিস্টেম নিয়ে এর আগেও একাধিকবার নানা প্রশ্ন উঠেছিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সময় এই কবজ সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, সাহায্যের জন্য কোন নম্বরে ফোন? রইল তথ্য
সাধারণত, যে লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে, সেই লাইনে মালগাড়ি চালানো হয় না। মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেন পাস করানো হয়। তবে এক্ষেত্রে দুটি ট্রেন একসঙ্গে কী ভাবে লাইনে চলে এল? সেই নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version