সিকিম থেকে পর্যটকদের উদ্ধারকার্য ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার থেকে টানা বুধবার পর্যন্ত সড়কপথে মোট ১২৩৭ জন পর্যটক ও স্থানীয়দের উদ্ধার করা সম্ভব। তবে, শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের সংযোগরক্ষাকরী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে এখনই যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে না। যান চলাচলে বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখা হচ্ছে।১০ নম্বর জাতীয় সড়কে মেলি ব্রিজ, রবি ঝোড়া এবং লিখু ভিরের কাছে রাস্তার বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণে জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রন রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী গাড়ি বা মালবাহী গাড়ির জন্য বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়ক দিয়ে সেতি ঝোড়া থেকে রংপো পর্যন্ত সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত বাস সহ ভারী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ২৯ মাইল থেকে ভালু খোলা পর্যন্ত রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ছোট গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধুমাত্র সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেতি ঝোড়া থেকে রংপো বাস সহ ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত। ভালু খোলা, গারেরি খোলা, রবি ঝোড়া, লিখু ভিরের কাছে সিঙ্গেল যেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করানো হবে। রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ না হাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকরী থাকবে।

Sikkim Flash Flood : সিকিমে নিখোঁজ একাধিক, ভেসে গেল তিস্তা বাজার

যাত্রীবাহী বা ছোট গাড়ির জন্য বিকল্প রুটের ন্যাপারে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। রংপো থেকে শিলিগুড়ি আসার জন্য মানসং, ১৭ মাইল, আলগড়া, লাভা, গোরুবাথান দিয়ে যাতে করতে হবে। ভারী গাড়ি গুলি রিশি, পেডং, আলগড়া, লাভা, গোরুবাথান হয়ে যাতে করতে হবে। রংপো, মেলি বাজার, চিত্রে, ২৯ মাইলের কাছে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে।

দার্জিলিং-কালিম্পং কোন রাস্তায় যাতায়াত? কী অবস্থায় রয়েছেন পর্যটকরা? রইল সব প্রশ্নের উত্তর
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশে ধস নামে। বাংলা থেকে লাচুং গিয়ে প্রচুর পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। বেশ কিছুদিন লাচুংয়ে আটকে থাকার পর তাঁদেরকে সড়ক পথে হাঁটাপথেই উদ্ধার করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয় সোমবার থেকে। তবে, এখনও পর্যটন পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। যাত্রী তথা পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জাতীয় সড়কে আরও কিছুদিন যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version