গত বছরও আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এসেছিল জেলার মেয়ের হাত ধরে। এবার জেলারই আরও এক কন্যার হাত ধরে এল সাফল্য। দুবাইয়ে আর্ন্তজাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় তিনটি সোনার পদক জিতলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা দেবনাথ। সুস্মিতার সাফল্যে রীতিমতো জয়জয়কার পড়ে গিয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।

দুবাইতে বসে প্রতিযোগিতার আসর

গত ২৫ থেকে ২৭ জুন দুবাইতে বসেছিল তৃতীয় এশিয়ান যোগাসন স্পোর্টস কাপ প্রতিযোগিতার আসর। আন্তর্জাতিক স্তরের সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন উদয়নারায়ণপুরের মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী সুস্মিতা দেবনাথ। প্রতিযোগিতায় ট্র্যাডিশনাল, রিদিমিক এবং আর্টিস্টিক বিভাগে সোনার পদক জেতেন সুস্মিতা। এর পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস বিভাগে ফার্স্ট রানার আপও হন তিনি।

সুস্মিতা দেবনাথ

আগেও জিতেছেন পুরস্কার

এর আগে গত বছর উত্তরাখণ্ডে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফিটনেস ফেডারেশন যোগাসন স্পোর্টস আয়োজিত ন্যাশানাল যোগাসন প্রতিযোগিতায় আর্টিস্টিক বিভাগে সোনা, ট্র্যাডিশনাল বিভাগে রুপো এবং আর্টিস্টিক বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সুস্মিতা দেবনাথ। পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই যোগাসনের প্রতি প্রবল ঝোঁক সুস্মিতার। বর্তমানে সেই যোগাসনকেই প্রাত্যহিক জীবনের অভ্যাসে পরিণত করেছেন তিনি। আর শুধু নিজে নয়, বর্তমানে নিজের যোগাসন স্কুলে কমবেশি ১০০ জনকে নিয়মিত যোগাসন শেখান সুস্মিতা। আগামী ১ জুলাই দেশে ফিরবেন হাওড়ার এই জয়ী কন্যা। নিজের সাফল্যের পর দুবাই থেকে সুস্মিতা জানান, যোগাসনকে নিয়েই আগামী দিনে পথ চলবেন তিনি। অন্যদিনে সুস্মিতার এই সাফল্যে খুশী তাঁর মা, বাবা, আত্মীয় পরিজন সহ কলেজের বন্ধুরাও।

সুস্মিতা দেবনাথ

উল্লেখ্য, এই জেলায় সাফল্য এসেছে আগেও। গত বছর ব্যাংককে আয়োজিত আর্ন্তজাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় ২টো সোনা ও ১টি রুপোর পদক জিতেছিলেন শ্যামপুরের সীতাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ঞ্জনা জানা। আর সেই সাফল্যের পরে এই বছর আরও এক সাফল্য। প্রসঙ্গত, নিয়মিত সুস্থ থাকার ক্ষেত্রেও যোগাসনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গোটা দেশ তথা সারা বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ নিয়মিতভাবে যোগাসন অভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version