এই সময়, বর্ধমান: বুলডোজ়ার চালিয়ে ১০০টিরও বেশি জবরদখলকারী অবৈধ অস্থায়ী দোকান ভেঙে ফেলল বর্ধমান পুরসভা। সোমবার সকাল থেকে বর্ধমান শহরের জেলখানা মোড় থেকে পার্কাস রোড এলাকার চার্চ রোড পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে চলে উচ্ছেদ অভিযান। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার ছাড়াও এদিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, জেলা পুলিশের ডিএসপি অতনু ঘোষাল-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।উচ্ছেদ অভিযানের শুরু থেকেই এদিন পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। জেলখানা মোড়ে হকাররা রাস্তায় জিনিসপত্র ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে। এক হকার কৃষ্ণা রাউতের অভিযোগ, ‘কোনওরকম আগাম নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদে নেমেছে পুরসভা।’

শেখ সাজু নামে আর এক হকার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এক মাসের সময় দেওয়ার কথা বলার পরেও বুলডোজ়ার তালিয়ে হকারদের দোকান সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা দোকানের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগটুকুও পাননি।’ উচ্ছেদের মুখে পড়া ঝর্ণা সরকার বলেন, ‘৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে ব্যবসা করছি। এখান আমাদের সংসার কীভাবে চলবে?’

ফুটপাথ ‘সাফাই অভিযান’ চলল বুধেও, নামল বুলডোজারও, বিষ্যুদে নতুন সিদ্ধান্ত?

যদিও চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকারের বক্তব্য, ‘বর্ধমান পুরসভার পক্ষ থেকে এই এলাকায় লাগাতার মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে। তাতে সবাইকে সরে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তার পরেও দখলদারি চলেছে। সেসব দোকানই আমরা উচ্ছেদ করেছি। শহরের ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে পুরসভার এই অভিযান চলবে। পরে পুরসভার কাউন্সিলারদের নিয়ে তৈরি কমিটি এনিয়ে পদক্ষেপ করবে। যে সমস্ত বৈধ হকার রয়েছেন তাঁদের তালিকাভুক্ত করে পরবর্তীকালে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’

মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকে উচ্ছেদের কথা বলা হয়েছিল। প্রশাসনিক নির্দেশে আমরা এই এলাকার হকারদের পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version