সেই মছলন্দপুর স্টেশনের একমাত্র ফুট ওভারব্রিজটি প্রায় একমাস হতে চলল খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইন পেরোতে হচ্ছে। যে কোনও সময়েই বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই রেলের যাত্রিসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসা-যাওয়ার জন্য এই ফুট ওভারব্রিজই এতদিন ব্যবহার করেছেন যাত্রীরা। কিন্তু সেই ব্রিজ খারাপ হয়ে গেলে সংস্কারের কাজ শুরু করে রেল। যদিও কিছুদিন পরেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মছলন্দপুর থেকে রোজ ট্রেন ধরেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সংস্কারের কাজের মাঝে একজন ঠিকাদার শ্রমিক ফুট ওভারব্রিজ থেকে ওভারহেড তারের উপরে পড়ে গিয়ে মারা যান বলে শুনেছিলাম। তারপর থেকেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
মছলন্দপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে রয়েছে টিকিট কাউন্টার। আপ ট্রেন ধরার জন্য ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসতে ফুট ওভারব্রিজই ব্যবহার করতেন যাত্রীরা। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকের বেলেডাঙা, সাহাপাড়া, নতুনপল্লি-সহ বেতপুলের বাসিন্দারা টিকিট কাটতে কিংবা ডাউন ট্রেন ধরতে ফুট ওভারব্রিজই ধরেই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে আসতেন।
কিন্তু সে সবই এখন বন্ধ। ফলে ট্রেন ধরা বা টিকিট কাটতে রেললাইন টপকেই আসা যাওয়া করছেন অনেকে। কারও তাড়া থাকলে ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে লাফ দিয়ে লাইন পারাপার করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যাঁদের ব্যস্ততা কম, তাঁরা ৩৫ নম্বর লেভেল ক্রসিং ঘুরে লাইন পারাপার করছেন। এ ভাবে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপারের তালিকায় বৃদ্ধ থেকে বাচ্চারাও রয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘মছলন্দপুর স্টেশনের ফুট ওভারব্রিজের বাকি সংস্কারের কাজ খুব দ্রুতই শেষ করা হবে।’