এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ বলেন, ‘কেউ দুর্নীতি করলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।’
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে সরব হন পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার বহু মানুষের আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। আমরা বারবার বলছি ১১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা দাও। নরেন্দ্র মোদীর দল এল এবং পুরো তদন্ত করল। তারাও স্বীকার করল এই সংখ্যক মানুষ বাড়ি পাবে। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী টাকা দিলেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ১১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের বাড়ির টাকা যদি নরেন্দ্র মোদী না দেন সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাস থেকে দিদি প্রথম কিস্তিতে টাকা দেওয়া শুরু করবেন।’
প্রসঙ্গত, মধুপর্ণা ঠাকুর বাগদাতে তৃণমূলের ‘মাস্ট্রারস্ট্রোক’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে কার্যত সবুজ ঝড় উঠেছিল। ২৯টি আসন দখল করেছে রাজ্যের শাসক দল, সেখানে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১২টি আসন এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে একটি আসন। কিন্তু, বনগাঁর আসনটি গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর সেখানে জয়ী হয়েছিলেন।
এরপরেই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কাকে প্রার্থী করে তৃণমূল সেই দিকে ছিল সব নজর। দলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা তথা ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য মধুপর্ণাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিনয় বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিন্তু, দলের অন্দরেই তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে শেষ হাসি কে হাসেন!