এদিন বিচারপতি কবে, কোথায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে তার তথ্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘পূর্ব কলকাতা জলাভূমিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।’ বিচারপতির সংযোজন, ‘আমরা রেজাল্ট চাই। কতদিন এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ দাঁড়িয়ে থাকবে? এক্ষেত্রে জেলাশাসক উদাসীন আচরণ করছেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
পাশাপাশি পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে যিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি অভিযোগ করেন, ‘আদালত প্রথম যে নির্মাণ ভাঙতে বলেছিল তা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’
এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘জেলাশাসক যদি এগিয়ে না আসেন সেক্ষেত্রে এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবে না। অনেক বিক্ষোভ হতে পারে। কিন্তু, এখানে যদি জেলাশাসক সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী না হন, সেক্ষেত্রে কিছু হবে না। রাজ্যের তরফেই ৫০০-র বেশি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্তত পাঁচটা ভাঙার প্রমাণ দিন। ওই জলাভূমি আগের অবস্থায় ফেরাতেই হবে।’
এই নিয়ে কোনও হালকা মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না বলেই জানান বিচারপতি। এই মামলার লাগাতার শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা বা তা চিহ্নিত করার কাজ ধীর গতিতে চলছে। ‘ওয়েটল্যান্ড অথরিটি’-কে ৩১ জুলাই কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। এছাড়াও সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে বেআইনি নির্মাণের যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। কোন কোন বেআইনি নির্মাণে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে এই দুই সংস্থা এবং রিপোর্ট দেবে।’