সতীপীঠের জন্য বিখ্যাত বীরভূম জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি সতীপীঠ। আর এবার সেই বীরভূম জেলাতেই উদ্ধার পিতলের প্রাচীন কালী মূর্তি। যে ঘটনাকে করে রীতিমতো হইচই পড়ে গেল বীরভূমের সবলপুর নীচুপট্টি রথতলা এলাকায়। ইতিমধ্যেই মূর্তিতে ধূপধুনো দিয়ে পুজোও শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, নিশ্চয় ওই অঞ্চলে আগে কোনও কালী মন্দির ছিল। সেই মূর্তিই এদিন উদ্ধার হয়েছে।জানা গিয়েছে, বোলপুরে নীচুপট্টি এলাকায় পুরনো একটি বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। সেই সময়ই কালী মূর্তির একটি হাত দেখা যায়। তারপর উদ্ধার করা হয় সেই মূর্তিটিকে। সেটিকে পুজোও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি ওই জায়গাটি ঘিরেও রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘটনায় দেবব্রত দুবে নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এই জায়গাটির হাতবদল হয়েছে। এখানে ভাঙাভাঙির কাজ চলছে। স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার সকালে দেখেন মূর্তির একটি হাত বেরিয়ে আছে। তারপর একজনকে ডেকে এই মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে এখানে একটি পঞ্চমুণ্ডির আসনে কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল। বর্তমানে সেই পুজো হয় বোলপুরের কালী বারোয়ারি তলায়। সেই পুজোর আগে এখানে সংকল্প করা হয়। তারপরেই শুরু হয় পুজো। আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গেল যে এখানেই মূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল ও আগেও এখানে পুজোপাঠ হত।’

এই মূর্তি উদ্ধারের পর ওই জায়গায় মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্যও স্থানীয়দের একাংশের পক্ষ থেকে উঠতে শুরু করেছে দাবি। এই বিষয়ে দেবব্রত দুবে বলেন, ‘আমাদের অনেক আগে থেকেই এখানে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে এই জায়গায় কেউ হাত দেয়নি। তবে এই ভাঙাভাঙির কাজ চলায় মা আবার স্বহিমায় নিজের জায়গায় ফিরে এসেছেন।’

জানা গিয়েছে, একটি সময় এই জায়গার মালিকানা ছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির এক পরিবারের হাতে। বর্তমানে বোলপুরের এক ব্যক্তি জায়গাটি কিনে নিয়েছেন। তিনিই এই জায়গায় ভাঙাভাঙির কাজ চালাচ্ছিলেন। আর তখনই উদ্ধার হয় মায়ের ওই মূর্তি।

উল্লেখ্য, এর আগে মেদিনীপুর শহরের সুপ্রাচীন মন্দির সংস্কারের সময় মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এক শিবলিঙ্গ। জানা যায়, ওই মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছর। সেই মন্দির সংস্কারের সময়, সেখানে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ সাময়িকভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন শ্রমিকরা। ঠিক সেই সময়ই প্রতিষ্ঠিত ওই শিবলিঙ্গের নীচে আরও একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version