শিশুদের পুষ্টির জন্য দেওয়া খিচুড়িতেই মিলল টিকটিকি! আইসিডিএস সেন্টারের খাবারের এই দশা দেখে রীতিমতো সরব শিশুদের অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে নয়নসুখ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দুর্গাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের বক্তব্য, ওই দিন সকালে আইসিডিএস সেন্টারের কর্মী নিজের বাড়ি থেকে সেন্টারে শিশুদের জন্য খিচুড়ি রান্না করে নিয়ে এসেছিলেন। সেই খিচুড়ি আইসিডিএস সেন্টারে আসা শিশুদের দেওয়া হয়েছিল। এক শিশু খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে তার মধ্যে টিকটিকি রয়েছে। এরপরেই সেন্টারে এসে সরব হন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন ফরাক্কার সিডিপিও ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে এই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঠিক কী অভিযোগ স্থানীয়দের? এক শিশুর অভিভাবক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি খিচুড়ির মধ্যে টিকটিকি পড়ে রয়েছে। কিন্তু, রান্নার দিদি মানতে রাজি হলেন না। ছুটে চলে গেলেন। আমাদের কোনও কথাই তিনি শোনেননি।’ অন্যদিকে, সুমনা খাতুন নামক এক মহিলা বলেন, ‘টিফিনের মধ্যে একটা টিকটিকি পড়েছিল। আমরা অনেকক্ষণ দেখার পর তা বুঝতে পারি।’

এদিকে অভিযুক্ত ওই আইসিডিএস কর্মী বলেন, ‘খাবার দেওয়ার পর একজন মেয়ে এসে আমাকে বলেন খাবারে টিকটিকি পড়েছে। আমি খুব ভালো করে রান্না করেছি। আর যদি পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে কোনও কারণে হয়তো ভুল হয়ে যেতে পারে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়।’

এখানেই শেষ হয়, তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না ওটা টিকটিকি ছিল ছোট মাছের মতো দেখতে লাগছিল। ওদের হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে।’ এদিকে অভিভাবকরা পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তাঁদের কথায়, ‘এই ধরনের খাবার যদি শিশুরা খায়, সেক্ষেত্রে ওরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। যাঁরা রান্না করছেন তাঁদের এই দায়িত্ববোধটুকুর প্রয়োজন রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হাওড়ার মুন্সিডাঙা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে খাবারে গিরগিটি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। স্কুলের রান্নাঘরেই খাবার তৈরি করা হত। ছুটির পর সেই খাবার শিশু বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেখানেই গিরগিটি দেখতে পান সাবিনা বেগম নামক এক মহিলার ছেলে। সাবিনা বলেন, ‘খাবার ছেলে বাড়ি নিয়ে এসেছিল। তা থালায় ঢালতেই একটি গিরগিটি দেখতে পাই। আমার ছেলে কিছুটা খেয়েওছিল ওই খাবার। এই নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ গোটা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version