উত্তরবঙ্গে লাগাতার চলছে বৃষ্টি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি চলছে। আর প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর জেরে কালিম্পং, সিকিম যেতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। এই পরিস্থিতিতে মেরামতির জন্য গোসখালাইন হয়ে আলগারা লাভার রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে ১৪ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে এই রাস্তা। পূর্ত দফতর সেই কাজ করবে। তবে মনসং হয়ে রংপো লাভা রোড খোলা থাকছে। সেই রুট দিয়েই চলাচল করছে গাড়ি। পাশাপাশি লাভা হয়ে কালিম্পং শিলিগুড়ির রাস্তাও খোলা থাকছে।অন্যদিকে জাতীয় সড়কে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। শ্বেতী ঝোড়া থেকে চিত্রে, সেলফিদাড়ার কাছে বিশাল ধসের জেরে বন্ধ রাস্তা। তবে দার্জিলিং দিয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। এছাড়াও খোলা রয়েছে পানবু হয়ে কালিম্পং, শিলিগুড়ির রাস্তা। সেই দিক দিয়েও পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। তবে সেই রুট ধরে সিকিম যেতে অন্তত ৬-৭ ঘন্টা সময় লাগছে। ফলে একদিকে যেমন অতিরিক্ত সময় লাগছে, তেমনই বাড়তি ভাড়াও গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।

রাস্তা বন্ধ রাখার নোটিশ

উল্লেখ্য উত্তরবঙ্গে জারি রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ এবং ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী, এমনকী কোথাও কোথাও প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এক্ষেত্রে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের মতো জেলাতেও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। এরপর শুক্রবারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। পাশাপাশি কোচবিহার এবং কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এরপর শনিবারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে।

লাগাতার বৃষ্টির জেরে উত্তরের পার্বত্য এলাকায় ধসের আশঙ্কা থাকছেই। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে সড়ক যোগাযোগ। আর জাতীয় সড়কে দেখা গেল তেমনটাই ছবি। একইসঙ্গে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়তে পারে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে পারে। পাশাপাশি নীচু জায়গাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে জমির ফসলেরও ক্ষতি হতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version