এই সময়: মুহূর্তের অসতর্কতা মানেই যমকে ডেকে আনা। জঙ্গলে প্রকৃতির সঙ্গে গা-মিশিয়ে বসে থেকে সম্ভাব্য শিকারদের ডিঙি নৌকা থেকে নামতে দেখে দক্ষিণ রায়। বাঘ ছাড়াও কুমির, সাপ, বুনো শুয়োর এবং আরও অনেক জন্তু-জানোয়ারে ভরা সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভ থেকে মধু পাড়তে যাওয়ার এই পেশাকে ‘মোস্ট ডেঞ্জারাস প্রফেশন অফ দ্য ওয়ার্লড’ অর্থাৎ দুনিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক পেশা মনে করা হয়।সুন্দরবনের মানুষ যে ভয়ানক ঝুঁকি নিয়ে মধু পাড়তে যান, সেই ঝুঁকি না নিয়েও সুন্দরবনের চাকভাঙা মধু সংগ্রহের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন পর্যটকরা। সে জন্য জঙ্গলে ঢুকতে হবে না। ঠাকুরানি নদীর পাড়ে কুলতলিতেই ‘হানি ভিলেজে’ গিয়ে পর্যটকরা দেখতে পাবেন সুন্দরবনের ‘জায়ান্ট হানি বি’-র তৈরি মধু কী ভাবে সংগ্রহ করা হয়।

অল্প একটু জায়গায় প্রচুর ভিড়-এমনটা হলে নিরিবিলির মজাটাই থাকে না। বেড়ানোর দিনগুলোয় যেন অখণ্ড শান্তি বিরাজ করে, এই দাবি বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে। আর নিরবচ্ছিন্ন শান্তির জন্য গ্রাম-বাংলার চেয়ে ভালো জায়গা আর কী-ই বা হতে পারে? বৃহস্পতিবার রাজ্যের পর্যটন-ব্যবসায়ীদের সংগঠন, ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (ট্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম মিটে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটন-ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলার রুরাল ট্যুরিজ়মকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো।

ট্যাবের পক্ষ থেকে প্রশান্ত মাঝি বলেন, ‘দেশের সব ক’টি রাজ্যের পর্যটন-ব্যবসায়ীরা ছাড়াও রাজ্যের পর্যটন-ব্যবসায়ীদের সব ক’টি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য বাংলায় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়ানো।’

এপারের বাঙালির নয়া গন্তব্য ওপার বাংলার বিখ্যাত হাওড়

পর্যটন-ব্যবসায়ী শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘নতুন যে জায়গাগুলোয় পর্যটকরা ভিড় করছেন, তার মধ্যে অন্যতম ঝড়খালি। সেখান থেকেই সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভে ঢোকার অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, সরাসরি গাড়ি নিয়ে সুন্দরবন যাওয়ার সুবিধা রয়েছে, তাই পর্যটকদের ভিড়ও হচ্ছে।’ আর এক পর্যটন ব্যবসায়ী অর্পণ দত্তরায় জানাচ্ছেন, কুলতলিতে মধু তৈরি হয় যে গ্রামগুলোয়, সেখানেও নতুনত্বের আশায় ভিড় করছেন পর্যটকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version