কুমির আতঙ্ক এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কামারহাটি পুরসভা এলাকার পিটুরি ঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘাটের ধারে বিশালাকৃতি প্রাণীকে ভাসতে দেখে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস পুরসভার।গঙ্গায় কুমির আতঙ্কে এবার জীবিকায় টান মৎস্যজীবীদের। জানা যায়, আড়িয়াদহে কামারহাটি পুরসভার ১নং ওয়ার্ড এর অন্তরগত পিটুরি ঘাট অঞ্চলে গঙ্গায় কিছুদিন ধরে কুমিরের ন্যায় বিশালাকৃতির প্রাণী দেখতে পাওয়া গিয়েছে বল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন মৎসজীবিরা।

তাঁদের দাবি, মৎস্যজীবীরা গঙ্গায় জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিলেন মাছ ধরবেন বলে। সেই সময় হঠাৎ প্রায় ১১-১২ ফুট লম্বা একটি কুমিরের ন্যায় প্রাণীকে দেখতে পান তাঁরা। শুধু তাই নয়, সেই কুমির জেল ভেসে ধেয়েও আসে তাঁদের দিকে। এদৃশ্য দেখে তাঁরা কোনওমতে জাল ছেড়ে দিয়ে নৌকা নিয়ে পাড়ে চলে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক স্পষ্ট হয় তাঁদের চোখে-মুখে। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বন দফতরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরা ওই প্রাণীটিকে কুমির বলেই সন্দেহ করছেন। বড়সড় বিপদ ঘটে যাওয়ার আগে কুমিরটিকে উদ্ধার করার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।

তাঁদের কথায়, এই কুমির অবিলম্বে গঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হোক, না হলে মৎসজীবীদের জীবিকায় টান পড়বে। বর্তমানে এই কুমির আতঙ্কে এখন গঙ্গায় মাছ ধরতে যেতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। এই মরশুমে গঙ্গায় মাছ ধরে জীবিকা রোজগার করেন বহু মৎস্যজীবী। তবে দীর্ঘ বছরে এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখে কার্যত গোটা এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এখন কত দ্রুত বন দপ্তর সক্রিয় হয়ে এই কুমির আতঙ্ক দূর করে সেদিকেই তাকিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস্যজীবীরা। প্রতিদিন গঙ্গায় স্নানসহ নানা কাজকর্ম করা মানুষ যেন এখন গঙ্গায় নামতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন। পাশাপাশি এই কুমিরের কারণে যদি বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে তবেই এর দায় কে নেবে উঠছে সে প্রশ্নও।

Crocodiles : নদী ঘাটের কাছে দেখা মিলছে বিশালাকৃতি প্রাণীর, কুমির আতঙ্ক হুগলিতে
বিষয়টি নিয়ে কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এহানকার মৎস্যজীবীরা বলছে প্রায় ১১-১২ ফুট লম্বা একটি কুমির দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। এখানে অনেকেই নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখন তাঁরা ছোট নৌকা করে নদীতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি বন দফতরকে জানিয়েছি। যাতে কুমিরটিকে দ্রুত উদ্ধার করা যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version