পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে এই কাণ্ড। যদিও, প্রতারণার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ২ মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে বাকিদের খোঁজ চলছে।সোমবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায়। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের ধরতে যায় কুলতলি থানার একটি টিম। তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়ই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। যদিও, গুলি চালনার ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সাদ্দাম লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার জন্য যায় পুলিশ। সাদ্দাম সোনার ঠাকুর বিক্রি করার নামে প্রতারণা করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেউ তাঁর কাছে ঠাকুর কেনার জন্য গেলে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়া হতো। এরকভাবেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে লুঠপাট চালাতো একটি দুষ্কৃতীদের দল। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ।

বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বলেন, ‘রেড করার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।’ তবে তল্লাশি অভিযানের পর প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২ জন মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আরও অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। ধৃত দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Chit Fund : টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ শহরে, পুলিশের জালে মূল চক্রী
উল্লেখ্য, কুলতলি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সোনার ঠাকুর বিক্রির নামে একাধিক প্রতারনার চক্র সক্রিয় রয়েছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন দিনের পর দিন। কিছুদিন আগেই একটি প্রতারণা চক্রকে হাতেনাতে ধরে কুলতলি থানার পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে দেবতার সোনার মূর্তি বিক্রির ফাঁদ পেতে চলত এই প্রতারণা। ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে ক্রেতারা হাজির হলে সেই টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিমা নেওয়ার জন্য ডেকে পাঠান হত ওই ক্রেতাকে। মূর্তি নিতে নির্দিষ্ট জায়গায় ওই ক্রেতা পৌঁছলে তাদের সর্বস্ব লুঠ করত প্রতারকরা। এরকমই একটি প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে এইদিন অভিযান চালায় পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version