এই সময়, মধ্যমগ্রাম: গত এক সপ্তাহ ধরে পুরসভার কল থেকে বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল। সেই জল ব্যবহার করার ফলে বাচ্চাদের পেটের রোগ দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে পুরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে। অবিলম্বে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের দাবি জানিয়েছে তারা।পুরসভা জানিয়েছে, গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জলের ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাইপ লাইনে লিকেজ হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেএমডিএ কাজ করছে। দু-একদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে দাবি মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধানের। মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের কমবেশি সব ওয়ার্ডেই গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হয়। এ ছাড়াও বুস্টার পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলও সরবরাহ করা হয়। মধ্যমগ্রামের পানিহারা এলাকায় পুরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে।

গঙ্গার জল পাইপলাইনের মাধ্যমে এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে আসে। সেখানে পরিশুদ্ধ হওয়ার পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ হয়। এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে মধ্যমগ্রাম ছাড়াও বারাসত এবং নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় জল সরবরাহ হয়। কিন্তু গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মধ্যমগ্রামে বিপত্তি বাধে।

সুদেষ্ণা বিশ্বাস নামে মধ্যমগ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে কল থেকে ঘোলা জল পড়ছে। বাধ্য হয়ে ওই জলেই রান্না করতে হচ্ছে। উপায় নেই বলে ওই জলই খাচ্ছি। পুরসভা মাইকে কিছু প্রচার করেনি। বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা করুক পুরসভা।’ নীলিমা সেন, রুমা সেনরা বলেন, ‘ঘোলা জল দিয়ে রান্না এবং খাওয়ার ফলে বিশেষ করে বাচ্চাদের পেটের রোগ হয়েছে। কারও বমি হচ্ছে। পুরসভা পানীয় জলের গাড়ি এলাকায় পাঠাচ্ছে না। আমরা ভালো পানীয় জল চাই।’

Drinking Water : ঘোলাটে পানীয় জল, ক্ষোভ একাধিক পুর এলাকায়, কবে মিটবে সমস্যা?
মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাইপ লাইনে লিকেজের ফলে ঘোলা জল পড়ছে। তবে গঙ্গার জল পরিশুদ্ধ করেই সরবরাহ করা হচ্ছে। এই জল পান করে কোথাও পেটের রোগ হয়েছে বলে জানি না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কেএমডি-এ কাজ করছে। আশা করি দু-একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version