২৩ দিন ধরে বন্ধ সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিশাল ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা। অবশেষে, আশার আলো দেখাল কালিম্পং জেলা প্রশাসন। দু-একদিনের মধ্যে এই রাস্তায় একমুখী যান চলাচলের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা। তবে, আপাতত ছোট গাড়িকে চলাঃকালের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।বুধবার বিকেলে বা বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলে জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের অন্যতম যোগাযোগকারী রাস্তা বন্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। টানা বৃষ্টি এবং ধসের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছে। সেলফিদারা এবং বিরিকদারাতে এখনও কিছু জায়গায় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। সড়কের কিছুটা মেরামত করা হয়েছে। আপাতত ছোট গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১০নম্বর জাতীয় সড়ক চালু গেলে শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে কালিঝোরা, শ্বেতীঝোরা, সেলফিধারা, বিরিকধারা হয়ে সোজা রম্ভি হয়ে যানবাহন পৌঁছাবে তিস্তাবাজারে। এরপর মেল্লি হয়ে রঙপো সীমানা পেরিয়ে গ্যাংটক পৌঁছন যাবে। কালিম্পংয়ের জেলা শাসক বালাসুব্রহ্মণিয়ান টি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল করার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই পুনরায় সড়ক চালু করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আর কয়েক মাসের মধ্যেই পুজোর ভিড় জমতে শুরু করবে পাহাড়ে। দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম যাওয়ার জন্য পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে। এর মধ্যেই মেরামত করে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক না করা বলে পর্যটন ব্যবস্থায় অনেকটাই ক্ষতি হবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

শহরে দপ্তর তৈরির বার্তা ওলা-উবেরকে, বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী
জুন মাসের শেষ দিক থেকে এক ধাক্কায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে পাহাড়ে। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এর সঙ্গে গত তিন সপ্তাহ ধরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় আরও বেশি ক্ষতি সহ্য করতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে গাড়ির মালিকদের। দু-একদিনের ১০ নম্বর দিয়ে যান চলাচল শুরু না হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে দাবি তাঁদের। হিমলয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, কয়েক সপ্তাহ ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে থাকায় পর্যটনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেয় বিভিন্ন সংগঠন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version