২৯ জুলাই বাতিল করা হয়েছে ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এমনটাই। সোমবার ট্রেনটির কলকাতা থেকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাংলাদেশ রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপাতত এই ট্রেনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শর্তসাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে ট্রেনের ভাড়া। এক্ষেত্রে শহরের সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারগুলিতেই দেওয়া হবে। হারানো টিকিটের ক্ষেত্রে কোনও অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। বিদেশি পর্যটকদের কাউন্টারে পিআরএসের কার্যক্রমের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। টিকিট ডিপোজিট রিসিপ্ট বা টিডিআর ইস্যু করা হবে না।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। সম্প্রতি পুরোপুরি কোটা ব্যবস্থা না তুলে দিলেও তা সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে ওপার বাংলার সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়।

শনিবার ঢাকা সহ চারটি জেলায় নয় ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করেছে। কোটা সংস্কার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হাসিনা সরকার। তারপরই আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পড়ুয়ারা।

১৯ জুলাই রাতে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সেই দিন থেকেই বাংলাদেশে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যেসব আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী জিল্লুর হাকিম জানান, কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, চিকিৎসা থেকে শুরু করে আত্মীয়তা সহ বিভিন্ন কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন বহু মানুষ। আর দুই দেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। ২৯ জুলাইয়ের ট্রেনটিও বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে বহু মানুষ। যদিও বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version