তবে, ওই তরুণী, তার মা এবং আরও এক সঙ্গী মিলেই যে পুরো ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল, সেটা তখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সোমবার সন্ধ্যায় রাখি ঘরের সামনে বসেছিলেন। বাড়িতে সেই সময় অন্য কেউই ছিল না। আচমকা তিন যুবক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সকলের মাথায় হেলমেট ছিল। গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত, পা, মুখ বেঁধে ফেলে তারা। এরপর লুঠপাট চালাতে থাকে।
তবে, ঘটনার তদন্ত যত এগোতে থাকে, ততই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের। পরিবারের সদস্যদেরই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। নিজেদের বাড়িতেই ডাকাতির ছক কষে ধৃত তরুণী রাখি প্রামাণিক, তার মা সারথী প্রামাণিক ও মায়ের বন্ধু বাপি মোল্লা।
ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় দশ লক্ষ টাকা, ড্রিল মেশিন, ধারালো অস্ত্র, হাতুড়ি, দড়ি, গামছা, ওড়না একটি মোবাইল ফোন। ভাঙড়ের মাছ বাজার এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পরিবারের সদস্য তরুণীর কাকা বিমল প্রামাণিকের জমানো টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই নিজেদের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিল রাখি ও তার মা। SDPO ক্যানিং রাম মণ্ডল বলেন, ‘গতকাল একটা ডাকাতির গল্প ফেঁদে প্রায় দশ লক্ষ টাকা ও নানা জিনিস লুঠ হয়েছিল। তদন্তে নেমে লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোট তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে।’