মাও সে তুঙের মুখে, ‘শত ফুল বিকশিত হোক’ এই স্লোগান বিশ্বখ্যাত হয়েছিল। বাংলায় শূন্য থেকে শুরু করতে শত নয়, সহস্র পরামর্শ এলো আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে।ধারাবাহিক নির্বাচনী বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করতে একমাস আগে জনতার অভিমত চেয়েছিল সিপিএম। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে এক মাসে দু’হাজারের বেশি মেল এসেছে দলের রাজ্য দপ্তরে। এছাড়াও কয়েক হাজার চিঠি এবং হোয়াটসঅ্যাপও এসেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত যত মেল, চিঠি, হোয়াটসঅ্যাপ আসবে তার মূল বক্তব্য সংকলিত করছে সিপিএম নেতৃত্ব।

কল্যাণীতে অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে আমজনতার অভিমত আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশ করা হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ির কথায়, ‘নির্বাচনী পর্যালোচনা নিয়ে সকলের মতমত মেলের মাধ্যমে চাওয়া হয়েছিল। গত ৩ জুলাই এই মেল আইডি প্রকাশ করা হয়। জুলাই মাস পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি মেল এসেছে।’

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, এই মেল, চিঠি, হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা খুঁটিয়ে পড়ে কমন পয়েন্টসগুলি একত্রিত করা হচ্ছে। এর বাইরে বিশেষ বিশেষ যে সাজেশন অথবা সাংগঠনিক পর্যালোচনা রয়েছে তাও সংকলিত করা হচ্ছে।

রাজ্যে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে কংগ্রেস সহ তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্রিত করার রাজনৈতিক লাইনে চলছে সিপিএম। এই নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য এসেছে। কংগ্রেসের হাত ছেড়ে শুধু বামদলগুলিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট করার পক্ষে বহু মেল, চিঠি এসেছে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বহাল রাখার পক্ষেও অনেকে মতামত জানিয়েছেন। এমনকী, নবীন প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল এবং একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের কোনও মুখকে তথাকথিত ক্যাপ্টেন হিসেবে চিহ্নিত করার বিপক্ষেও অভিমত এসেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে বামেদের বিপর্যয় অব্যহত থাকায় এই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে রাজ্য কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কাটাছেঁড়া করেছে সিপিএম।

Moloy Ghatak: নয়া আইন সংশোধন করতে পারে রাজ্য, দাবি মলয়ের

সেই নির্বাচনী পর্যালোচনা পার্টি চিঠি আকারে ব্রাঞ্চস্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এই দলীয় বিশ্লেষণে সীমাবদ্ধ থাকতে চায়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তাই সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ কী মনে করছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘মেল ছাড়াও প্রচুর চিঠি এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপে বহু মানুষ তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। ফেসবুকের কমেন্ট সেকশনে অনেকে তাঁদের বক্তব্য পোস্ট করেছেন।

এমনকী, আমার হাতেও খামবন্দি চিঠি দিয়েছেন অনেকে। সব বক্তব্য স্টাডি করা হচ্ছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী দলের ভাবনার সঙ্গে মানুষের এই ভাবনা মিশিয়ে প্রতিবেদন আকারে তা কল্যাণীর বর্ধিত বৈঠকে পেশ করবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version