শেষ এক সপ্তাহ ধরে চূড়ান্ত অচলাবস্থা দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের চাপে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা, ভাঙচুরের ঘটনা দেখা গিয়েছে। পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, সে ব্যাপারে ‘সম্মতি’ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থিতিশীল হওয়ার পথে বাংলাদেশ। দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষার ডাক দিয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শান্তি কামনা করেন মমতা বলেন, ‘আশা করি, খুব শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকব।’
বাংলাদেশের বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় শপথগ্রহণ হয়। বাংলাদেশের সামরিক এবং বেসামরিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পথ করেন ইউনূস। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। অরাজকতা এবং ভীতি কাটিয়ে বাংলাদেশকে আবার শান্ত করার ডাক দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। নতুন সরকারের সঙ্গে দেশের এবং রাজ্যের কী রকম সম্পর্ক হবে, সেটা সময় বলবে।