এদিন শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে একাঙ্ক পথনাটিকা, মূকাভিনয় ইত্যাদি মঞ্চস্থ করে আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাংস্কৃতিক কমিটি। কিন্তু সে সবকে এদিন বিকেলে ছাপিয়ে যায় খোদ আরজি কর কর্তৃপক্ষের তরফে জুনিয়রদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।
সপ্তর্ষি বলেন, ‘আমি অতীত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিশ্বাসী। এখন থেকে আরজি করে কিছু করতে গেলে আমার আর অধ্যক্ষের উপর দিয়ে যেতে হবে।’ তবে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের মনে করিয়ে দেন, এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে এই আন্দোলন থেকে সাধারণ মানুষের সমর্থন হারিয়ে যায়।
তাই রোগী পরিষেবা কোনও ভাবে যেন বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে চান তিনি। পাশাপাশি জানান, আন্দোলনকারীদের পাশে তিনি সব সময়ে আছেন এবং এই আন্দোলনকে পুরোভাগে সমর্থন করছেন।
সপ্তর্ষি সকলকে চমকে দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে প্রশাসকের চেয়ারে না থাকলে আমিও কর্মবিরতির মঞ্চে যোগ দিতাম।’ স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্যে অবস্থানে তুমুল উৎসাহিত হন আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত চলে জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ন্যায়বিচার না-মেলা অবধি কর্মবিরতির পথ থেকে সরছেন না আন্দোলনকারীরা।
এদিন সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল আরজি করে যায়। তিনটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা চেস্ট মেডিসিন বিভাগ ও মর্গ-সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন এবং নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রথমে তাঁরা মর্গে যান। উপাধ্যক্ষকেও বিভিন্ন জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এর আগে গত রবিবার ও মঙ্গলবারও সিবিআই হাসপাতালে গিয়েছিল।