নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের জামিনের শুনানিতে ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্যে মুখ্য সচিবের ভূমিকা। কেন এতদিনেও অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে মুখ্যসচিব অনুমতি দেননি, ফের সেই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট।অভিযুক্তদের তরফে তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, জামিনের আবেদনকারীদের প্রায় সকলেই সিনিয়র সিটিজেন। তা শুনে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কটাক্ষ, দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁরা সিনিয়র সিটিজেন আর প্রতারিতরা সকলেই যুবা।

মামলাকারীদের আইনজীবীদের কাছে আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যদি ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি না দেয় তাহলে ডিভিশন বেঞ্চ বা সিবিআই কী করতে পারে? আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চার্জ গঠনের অনুমতি দেবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছাড়াও অশোক সাহা, শান্তি প্রসাদ সিনহা, চন্দন মণ্ডলের মতো নিয়োগ মামলায় অভিযুক্তরা জামিনের আর্জি জানান। ধৃতদের আইনজীবীদের সবাই সিবিআই- এর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁদের বক্তব্য, সিবিআই ২০২২ সালে চার্জ গঠনের অনুমতি চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্য সচিবের কাছে দরবার করেছিল।

কিন্তু তারপরে এতদিন ধরে তারা কী পদক্ষেপ করেছে? আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, কেন শুধু সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? কেন রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না? এর আগে আদালত অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্য সচিবকে একাধিকবার পদক্ষেপের অনুরোধ করেছিল।

তাঁর স্পষ্ট অবস্থান জানাতে বলেছিল। কিন্তু তিনি এখনও অবস্থান স্পষ্ট করছেন না। ফলে অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ দিন সিবিআইকে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ সেপ্টেম্বর জামিন মামলার পরবর্তী পরবর্তী শুনানি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version