এই সময়, ঝাড়গ্রাম: আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের স্মরণে জামবনির কাপগাড়িতে চারাগাছ রোপণ করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। গাছটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিল ‘আর্যভ’। শুক্রবার ‘আর্যভ’র উদ্যোগে কাপগাড়ির সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবির এবং রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়।

আর্যভ-র সভাপতি অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি এখন সত্তর ছুঁইছুঁই। রক্ত দিতে পারি না। কিন্তু শ্রম, বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিতে পারি। সে জন্যই কলকাতা থেকে এখানে ছুটে আসা। থ্যালাসেমিয়া আটকানো সম্ভব যদি আমরা একটু সচেতন হই। আজ পুরো পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল নারী সম্মান নিয়ে। এটা সারা পৃথিবীর একটা ব্যাধি। এখানে কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নারীদের সম্মান দিতে পারেন না। তাঁদেরকে চিহ্নিত করুন। এই সমাজকে দূষণ মুক্ত করুন। আবার আমরা ভালো সমাজ গড়ে তুলতে পারি। নতুন প্রজন্ম যে উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছে, তাতে আমার বিশ্বাস, আমার সবাই ঠিক পথে এগোচ্ছি। নির্যাতিতার স্মরণে বসন্তরানি নামে একটি গাছ রোপণ করলাম। ভবিষ্যতে যাতে নারী সুরক্ষার ব্যাপারে আরও একটু চিন্তা ভাবনা করা যায় এবং মানুষ যাতে একটু সচেতন হয়, সেই কামনা করি।’

‘আর্যভ’-র সম্পাদক চিরঞ্জীব গোস্বামী বলেন, ‘সমাজের আলোকবৃত্ত থেকে যাঁরা এখনও বঞ্চিত এবং ভৌগোলিক কারণে প্রান্তিক অবস্থানের জন্য পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদেরকে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানটি আমরা আরজি করের নির্যাতিতার স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম।’

Dev: ‘সব মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে…’, আরজি কর নিয়ে কী বললেন দেব?

কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু বলেন, ‘আর্যভ যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার কলেজে এসেছিল, তাতে পড়ুয়া-অধ্যাপক সকলেই উপকৃত হয়েছি।’

এ দিন ৪০ জন কলেজ পড়ুয়ার থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করা হয়। কলেজের অধ্যাপক-পড়ুয়া মিলে ৩০ জন রক্তদানও করেন। থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যানসার সম্পর্কে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন কলকাতার প্রখ্যাত হেমাটো-অঙ্কোলজিস্ট চিকিৎসক দেবমাল্য ভট্টাচার্য। রক্তদানের সুফল নিয়ে বক্তব্য রাখেন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক কার্তিকচন্দ্র নস্কর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version