ফের বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক খুন। মহারাষ্ট্রে উদ্ধার ওই শ্রমিকের মুণ্ড কাটা দেহ। মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়েছিলেন বীরভূমের নলহাটি থানার পানিটা গ্রামের বাসিন্দা ওই শ্রমিক। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মহারাষ্ট্র পুলিশ শ্রমিকের ভাইকে ফোন করে জানায়, দাদাকে খুন করা হয়ে্ছে। মৃত্যুর খবর জানায়। ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে।মৃত শ্রমিকের নাম সোমনাথ দেবনাথ। ৩২ বছর বয়সী সোমনাথ বছর দেড়েক আগে মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজে যোগ দেন। পরিবার সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র থেকে মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন সোমনাথ। দু’মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন।দিন কয়েক থেকে কাজের জায়গায় ফিরে যান।

সোমনাথের ভাই সুকান্ত জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মহারাষ্ট্র পুলিশের এক কর্মী তাঁকে ফোন করেন। ওই পুলিশ কর্মী জানান, একটি বহুতল থেকে সোমনাথের মুণ্ড কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানকার কপুরবাউড়ি থধানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুকান্ত আরও জানান, তাঁদের কপুরবাউড়িতে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে মৃতদেহ নিয়ে আসতে বলেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে নলহাটি থানায় যোগাযোৌগ করে সোমনাথের পরিবারের লোকজন। নলহাটি থানাও জানায়, সোমনাথকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের মহারাষ্ট্রে গিয়ে মৃতদেহ আনতে বলে নলহাটি থানার পুলিশও। সোমনাথের ভাই জানান, আজই তাঁরা মৃতদেহ আনতে মহারাষ্ট্র রওনা দেবেন।

মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শ্রমিকের সঙ্গে কাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না বা খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সবকিছুরই তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেই সিউড়ির এক হোটেল ম্যানেজমেন্ট ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গুজরাটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিউড়ির মল্লিকগুনো পাড়ার বাসিন্দা পিয়া দাস হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর ট্রেনিং করতে গেছিল গুজরাটে। গত ১২ই সেপ্টেম্বর তা৪ঁর বাড়িতে গুজরাটের হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ফোন করে বলা হয় ‘আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

বাড়ির লোক সেখানকার থানায় যোগাযোগ করে পিয়ার মৃতদেহ নিয়ে আসেন সিউড়ির বাড়িতে। পরিবারের অভিযোগ, গুজরাত পুলিশ পিয়ার রহস্যমৃত্যুর কোনও তদন্তই করেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version