এই সময়, শিলিগুড়ি: মেলো টি ফেস্টিভ্যালের হাত ধরে শীতের দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ভিড় এ বার অক্টোবরের পুজো মরশুমের ভিড়কেও ম্লান করে দিতে পারে। আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর পাহাড়ে আয়োজন করা হচ্ছে মেলো টি ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় পর্ব। কী নেই সেই উৎসবে! ইংরেজি ব্যান্ডের প্রতিযোগিতা তো রয়েছেই, তার সঙ্গে থাকছে আ্যডভেঞ্চার, বার্ড ওয়াচিং থেকে শুরু করে পর্যটনের নানা আঙ্গিক।পাহাড়ের রকমারি খাবার। চায়ের প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে দম ফেলার ফুরসৎ পাবেন না পর্যটকেরা। শুক্রবারই দার্জিলিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই উৎসবের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ। এ বার কেবল ইংরেজি ব্যান্ডের প্রতিযোগিতাই নয়, নেপালি ব্যান্ডের প্রতিযোগিতা এবং নাগাল্যান্ডের রক ব্যান্ডের প্রদর্শনী থাকবে।

ব্যান্ডে পাহাড়ের খ্যাতি কারও এখন আর অজানা নয়। পাহাড়ের অধিকাংশ স্কুল-কলেজেও ব্যান্ডের চর্চা চলে। গত বছর ৯০টি ব্যান্ডের দলের মধ্যে ১১টি দলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল মূল অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য। এ বার ভিড় আরও বাড়বে বলে অনুমান। মহিলাদের ব্যান্ডের দলও থাকবে। গিরিশ অ্যান্ড দ্য ক্রনিক্যাল সংস্থা বিচারকের ভূমিকায় থাকবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, টয় ট্রেন কিংবা ব্যান্ডই তো আর দার্জিলিংয়ের সব কিছু নয়।

দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে নতুন ৬টি ট্রেকিং রুট
নানা জনজাতি মিলে যে অপরূপ পাহাড়ে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তারও প্রদর্শনী থাকবে এই উৎসবে। ১২টি জনজাতির উন্নয়ন বোর্ডের স্টল থাকবে উৎসবে। পর্যটকদের পছন্দমতো অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, বার্ড ওয়াচিং কিংবা রুরাল ট্যুরিজমকে বেছে নেওয়ার সুযোগও। ২২ ডিসেম্বর উৎসবের সমাপ্তি হবে ম্যারাথন দৌড়ের মাধ্যমে।

এ বছর দার্জিলিংয়ের ম্যারাথন দৌড় এগারো বছরে পড়ল। গোটা বিশ্ব থেকে প্রতিযোগীরা এই দৌড়ে অংশ নেন। পুরস্কারের ছড়াছড়ি থাকে এই উৎসবে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য দার্জিলিংয়ের বৈচিত্রময় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকেও সংস্কৃতি মনস্ক করে তোলা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version