এই সময়, রায়গঞ্জ: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ‘অপরাধে’ সালিশিসভা বসিয়ে এক মহিলা ও এক যুবককে বেঁধে মাথা নেড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আদিবাসী গ্রামে। সোমবার যুগলের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। পরে জানা যায়, ওই যুগলের বাড়ি ইসলামপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে।

ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার দেণ্ডুপ শেরপা বলেন, ‘ভিডিয়োর ওই যুবক ও মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে তাঁদের সঙ্গে ওই আচরণ করা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী মহিলা এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যুগলে বাড়ি ছেড়ে বিহারে পালিয়ে যান। এরপর গ্রামের লোকজন খোঁজখবর করে তাঁদেরকে ধরে গ্রামে নিয়ে আসে। গ্রামে সালিশিসভা বসিয়ে তাঁদের বিচার শুরু হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁদের মারধর করার পাশাপাশি হাত বেঁধে রেখে মাথা নেড়া করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নাফিস আলম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে ওই গ্রামে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আদিবাসী সমাজের কিছু নিজস্ব নিয়ম আছে। তাঁরা তা আমাকে জানানোয় আমি আর নাক গলাতে যাইনি।’

ইসলামপুর ব্লক আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জাসকেল হাঁসদা বলেন, ‘ওই গ্রামের কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। আজকে প্রশাসনের মাধ্যমে ঘটনার কথা জানতে পারি। ওই গ্রামের সকলেই নয়, তবে কয়েক জন সালিশি বসিয়ে মাথা নেড়া করার নিদান দেয় বলে শুনেছি। এটা ঠিক কাজ হয়নি। আমাদের সমাজও এটা মেনে নেবে না। কারণ আদিবাসী সমাজের নয়, এটা কয়েক জন লোকের সিদ্ধান্ত। পুলিশ-প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version