বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার পথে ডানকুনিতে তাঁর কনভয়ের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। কোনও একটি খাম দিতে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁকে ধরে ফেলেন। কী বললেন সেই কাউন্সিলর?জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল থেকে ওই কাউন্সিলরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ বলেন, ‘তেমন কিছু বিষয় হয়নি, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী ডানকুনির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাই আমরা তাঁকে স্বাগতম জানাতে এসেছিলাম। কোনও পুলিশ আমাকে নিয়ে যায়নি।’

মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ডানকুনি টোলপ্লাজা দিয়ে যাওয়ার সময় ডানকুনির এক তৃণমূল কাউন্সিলর মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে এগিয়ে গিয়ে একটি খাম দিতে যান। সেখানে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার স্বয়ং দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কেন কাউন্সিলর গাড়ির কাছে গেলেন সে বিষয়ে জিঞ্জাসাবাদ করার জন্য ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমের প্রশাসনিক বৈঠক ছেড়ে ডানকুনি টোল প্লাজা পেরিয়ে কলকাতা দিকে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে এই ঘটনা। আগে থেকেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তার হাতে ছিল ব্রাউন কালারের একটি ছোট খাম। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাবালগী-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নজর এড়িয়ে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কমিশনারের নজরে আসতেই তিনি তৃণমূল কাউন্সিলাকে ডেকে রীতিমতো ধমক দেন।

নিজের ৪০ বছরের পুরোনো কার্যালয় ভেঙে দিলেন স্বপন
জানা যায়, ডানকুনি রেল ওভার ব্রিজ তৈরি হলেও রেল লাইন পারাপারের জন্য সমস্যা রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। রেল লাইনের তলায় আন্ডারপাস করার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ। আন্ডারপাস নির্মাণের ব্যাপারেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকে চিঠি দিতে গিয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু জানাননি কাউন্সিলর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version