এই সময়, জলপাইগুড়ি: ডাকাতি করতে এসে মামাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভাগ্নেকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। গত বছর ২৮ জুলাই রাতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার আঙরাভাসা গ্রামে খুন হন মেহেতাব আলম (৪০)। ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েও মরার মতো পড়েছিলেন মৌমিতা দাস। সোমবার সেই খুনে অভিযুক্ত ভাগ্নে আবতাব আলম-এর সাজা ঘোষণা করেছে জলপাইগুড়ি আদালত। রায় শুনে মৌমিতার বলেন, ‘ওর ফাঁসির সাজা হওয়ায় আমি ও আমার ছেলেরা অত্যন্ত খুশি।’মেহেতাবের আদি বাড়ি বিহারে হলেও স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যবসায়িক সূত্রে ধূপগুড়িতে থাকতেন। বিমা সংস্থার এজেন্সির পাশাপাশি অন্য ব্যবসা ছিল তাঁর। এক সময়ে মামার কাছে থেকে কাজকর্ম দেখাশোনা করত আফতাব। বছর দেড়েক আগে দিল্লি চলে যায় সে।

ঘটনার দিন পাঁচ সঙ্গীকে নিয়ে গভীর রাতে জানালা ভেঙে মামার ঘরে ঢোকে। প্রথমে মামিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে মামার ঘরে ঢুকে নৃশংস ভাবে খুন করে। বাবা-মায়ের উপরে অত্যাচার হচ্ছে দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গ্রামের লোকজনকে ডেকে আনে মৌমিতার নাবালক দুই সন্তান। ভোর রাতে ধরা পড়ে অভিযুক্তরা।

মোবাইল গেম নিয়ে বিবাদ, নাকাশিপাড়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রকে খুনের অভিযোগ

সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে দাঁড়িয়ে মৌমিতা বলেন, ‘সেই রাতে মরার মতো পড়ে না থাকলে আমাকেও প্রাণে মেরে ফেলত।’ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে জানিয়েছেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে এই ঘটনা। দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ায় তাড়াতাড়ি বিচার শুরু হয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version