২০২১ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হস্টেলে ‘রহস্যমৃত্যু’ হয় জুনিয়র চিকিৎসক মোবারক হোসেনের। ছেলের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি বলে দাবি এই মৃত চিকিৎসকের বাবার। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজ্য তোলপাড়। একাধিক মেডিক্যাল পড়ুয়া থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছেন। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় ‘থ্রেট কালচার’-এর কোনও প্রভাব ছিল কি না, কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য যথাযথ তদন্তের দাবি করলেন মোবারক হোসেনের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম।২০২১ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হাউস স্টাফ হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোবারক হোসেনের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হস্টেলের সামনে থেকে মোবারকের দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে তিনি মারা যান, না অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু হয় তার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। এখন তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানেন না বলে দাবি মোবারকের পরিবারের সদস্যদের। মৃতের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম আজও বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তিনি ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

হাফিজুলের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানান নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মোবারকের। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মোবারকের শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি দাবি তাঁর। আরজি করের ঘটনার পর ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক জুনিয়র চিকিৎসক। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি করলেন হাফিজুল। ছেলের মৃত্যুর নেপথ্যে ‘রহস্য’ রয়েছে বলে তাঁর সন্দেহ।

দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করে কেন গিয়েছিলেন? CBI-এর প্রশ্নের মুখে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বিরূপাক্ষ

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব নাগরিক সমাজ। সেই দাবিতে সুর চড়িয়েছে মোবারক হোসেনের পরিবারও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version