আকাশ থেকে পড়ল ধবধবে সাদা গোলাকৃতি বস্তু। মেঘমুক্ত আকাশ থেকে হঠাৎ কী এমন পড়ল? ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে হইচই বাঁকুড়া জেলার সিমলিপাল এলাকায়।গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর শনিবার সকাল থেকেই মেঘমুক্ত আকাশ ছিল বাঁকুড়া জেলার সিমলিপালের ছোটো রামবনি এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ একটি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। ওই আওয়াজের উৎস স্থল বুঝে ওঠার আগেই দুধ সাদা রঙের গোলাকার একটি বস্তু মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার আকষ্মিকতায় ওই এলাকায় উপস্থিত অনেকেই দৌড় লাগান। পরে ঘটনাস্থলে ফিরে তাঁরা দেখেন বিশালাকৃতি বরফের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে যে জায়গাতে ওই বরফটি পড়েছিল, সেখানেও বেশ খানিকটা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক কুইন্ট্যাল ওজনের ওই বরফখণ্ডটি লোকালয়ে পড়লে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই অনেকেই আশঙ্কা করছেন। কিন্তু মেঘমুক্ত আকাশ থেকে বিশালাকার এই বরফ খণ্ড পড়ার কারণ কী? বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে রামবনি এলাকার মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা আকাশ দুলে বলেন, ‘আমরা কাছেই একটা জায়গায় কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ হয়। কাছে গিয়ে দেখলাম একটি বরফের গলা পড়ে আছে। কেন এমন হলো বুঝতে পারলাম না।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘এরকম আগে কোনওদিন দেখিনি। হঠাৎ উত্তরের দিক থেকে একটি বরফের গলা এসে মাটিতে পড়ল। অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছে।’

ড্রেনে জোড়া ভ্রূণ, অবৈধ গর্ভপাতে গ্রেপ্তার ‘ডাক্তার’
বিষয়টি মোটেই অস্বাভাবিক নয়, তবে নিয়মিত এই ধরণের ঘটনা ঘটে না বলেই জানালেন বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ দ্রুহীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টিকে বলা হয় ‘মেগাক্রায়োমিটিওর’। ঘনীভবনের কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। খুব বড় স্তম্ভ মেঘের সৃষ্টি হলে এরকম বড় আকারের বরফের শিলাবৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি। বিষয়টি আদৌ কোনও অতিপ্রাকৃতিক বিষয় নয় এবং এতে গ্রামবাসীদের চিন্তার কোনও বিষয় নেই বলেই জানিয়ে দেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version