জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনা করে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাব। সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও আমাদের কথা হবে। বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাঁরা কী চাইছেন, তা বুঝতে হবে। আন্দোলনের শুরু থেকে তাঁরা সঙ্গে রয়েছেন।’
চিকিৎসক মহলের একাংশ মনে করছেন, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন চালিয়ে যান। তবে, সাধারণ মানুষের পরিষেবা বাদ দিয়ে নয়। পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে তাঁরা সরে আসুন, এমনটাই চাইছেন অনেকে। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর জিবি বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেও অনেকেই পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিলেন। ভিন্ন পন্থায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয় জানিয়েছিলেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই কর্মবিরতি শুরু করে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিক ভাবে কাজে ফিরেছিলেন তাঁরা। সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের ব্যাপরে পদক্ষেপ করার জন্য। যদিও, সাগর দত্ত হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আক্রমণের ঘটনার পরেই ফের ১ অক্টোবর থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে যান তাঁরা।