এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিহতের নাম ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঠেকাতে তৎপর লালবাজার। ইতিমধ্যেই ২৫ জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নিহত মহিলা চিকিৎসকের নাম পরিচয় প্রকাশের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে শহরের বিভিন্ন থানায়।এছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্সের মতো সোশ্যাল সাইটগুলি থেকে ৪৫০০টি পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। যার মধ্যে বেশকিছু পোস্ট বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। কলকাতা পুলিশের তরফে পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে আলাদাভাবে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে সোচ্চার হতে শুরু করেন। একই সঙ্গে নানা রকম ভুয়ো তথ্য ও খবর শেয়ার করাও হয়। লালবাজারের দাবি, বেশ কয়েকটি ফেসবুক প্রোফাইল যে ডিভাইস ব্যবহার করে খোলা হয়েছে, সেগুলির ইন্টারনেট প্রোটোকল (‌আইপি অ্যাড্রেস) ‌বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।

চিকিৎসায় গাফিলতি, ফের আরজি করে হেনস্থার শিকার মহিলা চিকিৎসক

সেখান থেকেই পুলিশ নিশ্চিত হয়, প্রোফাইলগুলি বিদেশ থেকে চালিত হচ্ছে। ওই প্রোফাইলগুলির প্রতিটিই ভুয়ো। পুলিশের ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে গুজব রটানো হয়েছে। গ্রেপ্তারি এড়াতে অভিযুক্তরা ‘‌ফেক প্রোফাইল’‌ বানিয়েছে। ওই প্রোফাইলগুলির আড়ালে কারা, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version