কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জয়নগরে মৃত নাবালিকার পরিবার। রবিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। আদালত এ দিন নির্দেশ দেয়, ময়নাতদন্ত হবে রাজ্য সরকারের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। সেখানে কল্যাণী AIIMS-এর বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন। সোমবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দেহ পৌঁছবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম)।পাশাপাশি সুরতহালের রিপোর্ট দেখেও কেন পকসো মামলা যুক্ত করা হয়নি, তা নিয়ে এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলাটি অবিলম্বে বিশেষ পকসো আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই নাবালিকার ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে কমান্ড হাসপাতালের নাম ওঠে। কিন্তু সেখানে পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা উঠে আসে। এরপরেই কমান্ড হাসপাতালের পরিবর্তে রাজ্য সরকারের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় জয়নগরের এক ৯ বছরের নাবালিকা। শনিবার ভোর রাতে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির দেহ। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তৎপর হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করে বলে জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে জয়নগরের পরিবার

শনিবার নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া মোমিনপুরের কাটাপুকুর মর্গে। কিন্তু বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর-সহ আরও অনেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নাবালিকার পরিবারের সদস্যরাও ওই হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাতে চাননি। শেষমেশ ওই দিন কাটাপুকুর মর্গে নাবালিকার ময়নাতদন্ত হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version