ষষ্ঠদশ শতকে জনার্দন উপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন তিনটি রাজপ্রাসাদ। যার মধ্যে প্রথমটির নাম হল রঙ্গিবসান, দ্বিতীয়টির নাম লালকুঠি এবং তৃতীয়টির নাম ফুলবাগ। রঙ্গিবসান এবং লালকুঠিতে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয় রঙ্গিবসানে। ফুলবাগই হল মহিষাদল রাজবাড়ি। সেখানে যেতে পারেন সাধারণ পর্যটকরা। সেখানে থেকেই রাজবাড়ির সৌন্দর্য, কড়িকাঠের ছাদ, চওড়া দালান, খড়খড়ি, ঝাড়বাতি, দুর্গামণ্ডপ, কামান সব কিছু দেখে নেওয়া যায়।
সেখানকার মিউজিয়ামে দেখা যাবে রাজাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের পাশাপাশি শিকার করা পশুপাখি দেহাংশ। দেওয়াল জুড়ে টাঙানো রয়েছে রাজবংশের ইতিহাস। মহিষাদলের গড়কমলপুর এলাকায় কয়েকশ একর জায়গা জুড়ে মহিষাদল রাজবাড়ি। বর্তমানে এই রাজবাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে গর্গ পরিবার। এই রাজবাড়িতে রয়েছে রাত্রিযাপনের সুবিধা। পর্যটকদের জন্য তিন ধরনের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান হরপ্রসাদ গর্গ।
তিনি জানান, রাজবাড়িতে নিশিযাপন করতে হলে আগে থেকেই বুকিং করে আসতে হবে (যোগাযোগ নম্বর 9830275928) ৷ রুমের ভাড়া শুরু ২ হাজার টাকা থেকে। প্রতিটি রুমেই রয়েছে এসি, টিভি, আলাদা বাথরুম। সঙ্গে মিলবে ব্রেকফাস্ট৷ তবে লাঞ্চ এবং ডিনার করতে হলে আগে থেকে জানালে তবেই রাজবাড়ির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হবে।
বছরের যে কোনও সময়ে আসা যায় মহিষাদল রাজবাড়ি। দিঘা আসার পথে নন্দকুমার মোড় পার করে কাপাসিরিয়া মোড় থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গেলেই মহিষাদল রাজবাড়ি। ট্রেনে আসতে চাইলে হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে মহিষাদল স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি করে যাওয়া যায় রাজবাড়ি।