এই সময়, শ্রীরামপুর: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও বৃষ্টির ভ্রুকুটিকে অগ্রাহ্য করে থিম ও সাবেকিয়ানার মেলবন্ধনে জমজমাট হুগলি জেলার দুর্গাপুজো। ডাইনোসর থেকে সত্যজিৎ রায়ের ভাবনার দেখা মিলবে মণ্ডপে। লন্ডনের স্বামী নারায়ণের মন্দির থেকে প্যারিসের অপেরা হাউস উঠে এসেছে শ্রীরামপুরের বারোয়ারি মণ্ডপে। পুজোর প্রস্তুতি বেশির ভাগ বারোয়ারি শেষ করে ফেলেছে। অনেকে আবার উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। নেতা-মন্ত্রীরা ফিতে কাটতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ভার্চুয়ালি একগুচ্ছ বারোয়ারি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পুজোর মরসুমে খাপছাড়া বৃষ্টি ভাবিয়ে তুলেছে উদ্যোক্তাদের।শ্রীরামপুর আরএমএস ময়দানে ৫ ও ৬-এর পল্লি গোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সমতির পুজোর মূল উদ্যোক্তা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার লন্ডনের স্বামী নারায়ণের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। তবে প্রতিমা সাবেকি। এই পুজো ঘিরে প্রবল আগ্রহ রয়েছে শ্রীরামপুরে। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা সন্তোষ কুমার সিং বলেন, ‘অনেকের সাধ থাকলেও লন্ডন যাওয়ার সামর্থ্য নেই। সেই সমস্ত মানুষের জন্য লন্ডনের স্বামী নারায়ণ মন্দির তৈরি হয়েছে শ্রীরামপুরে। এর আগে টুইন টাওয়ার মানুষের মন কেড়েছিল। এ বারেও মানুষের ঢল নামবে।’
শ্রীরামপুরের নিউ বয়েজ় ক্লাবের ভাবনা জুরাসিক যুগ। ৩৯ বছরের এই পুজোর মণ্ডপে দেখা যাবে নানা প্রজাতির ডাইনোসর। তবে সবটাই কাগজ দিয়ে তৈরি। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ছোটদের উৎসাহ ও আনন্দ দিতেই এই উদ্যোগ। পরিবেশ বান্ধবের বার্তা দিতে আমরা করেছি কাগজের তৈরি মণ্ডপ ও ডাইনোসর।’ নেহরু নগর কলোনির পুজো এ বার ৭৫ বছরে পড়ল। প্যারিসের অপেরা হাউসের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ বাহারি আলোয় সাজবে মণ্ডপ। দাবি করলেন পুজো উদ্যোক্তা দেবজিৎ সরকার।
শ্রীরামপুরের নিউ বয়েজ় ক্লাবের ভাবনা জুরাসিক যুগ। ৩৯ বছরের এই পুজোর মণ্ডপে দেখা যাবে নানা প্রজাতির ডাইনোসর। তবে সবটাই কাগজ দিয়ে তৈরি। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ছোটদের উৎসাহ ও আনন্দ দিতেই এই উদ্যোগ। পরিবেশ বান্ধবের বার্তা দিতে আমরা করেছি কাগজের তৈরি মণ্ডপ ও ডাইনোসর।’ নেহরু নগর কলোনির পুজো এ বার ৭৫ বছরে পড়ল। প্যারিসের অপেরা হাউসের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ বাহারি আলোয় সাজবে মণ্ডপ। দাবি করলেন পুজো উদ্যোক্তা দেবজিৎ সরকার।
নিউ গেট সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো এ বার ৮০ বছরে পড়ল। পুজো কমিটির সম্পাদক সংবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বারের ভাবনা শিবশক্তির মহামিলন। এখানে শিব-দুর্গার নানা রুপের দেখা মিলবে।’ চণ্ডীতলার জনাই কল্যাণ সমিতি ৫৯ বছরে পড়ল। অগুনতি পাহাড়ি বাঁশের টুকরো দিয়ে তৈরি বাহারি মণ্ডপ। শুভশক্তির আশীর্বাদের হাতের দেখা মিলবে মণ্ডপে। এ ছাড়া আলোকসজ্জাতেও থাকছে চমক বলে জানিয়েছেন সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী। মাহেশ শিবতলা লেনের পুজোর ভাবনা মহারাজা তোমারে সেলাম। সেখানে সত্যজিৎ রায়ের নানা সৃষ্টির দেখা মিলবে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্য শম্ভু জানা। সব মিলিয়ে থিমের পুজোয় জমজমাট গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের শহর শ্রীরামপুর।