আদালতে পেশ করার পরে আশিসের আইনজীবী আনন্দ গঙ্গোপাধ্যায় জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘সিবিআই প্রথম দিন আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ‘হুমকি সংস্কৃতি’-র অভিযোগ এনেছিল। এ বার তাঁরা অভিযোগ করছেন আমার মক্কেল সিনিয়র চিকিৎসকদের অন্যত্র বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। একই সঙ্গে তিনি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এই অভিযোগগুলি প্রথমে করা হয়নি কেন?’
জবাবে সিবিআই জানায়, তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। অনেক বিষয় সামনে আসছে। আশিস কাদের টাকা পাঠাতেন, তাঁর অ্যাকাউন্টেই বা কারা টাকা পাঠান – এই বিষয়গুলো তদন্তের স্বার্থে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই আশিসকে আরও কিছুদিন সিবিআই হেফাজতে রাখার প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক তাঁকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
অন্য দিকে সন্দীপ ঘোষ, সুমন হাজরা, আফসার আলি ও বিপ্লব সিংহ এজেলাসে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। আফসারের আইনজীবী শ্যামল মণ্ডল আদালতের কাছে জানান, মক্কেলের বাড়ির ছাদে একটি বেসরকারি সংস্থার মোবাইল ফোনের টাওয়ার রয়েছে। সেখান থেকে যা ভাড়া আসে, আফসারের সই ছাড়া চেক ভাঙিয়ে সেই টাকা পাওয়ার উপায় নেই। তাই আদালতের কাছে আইনজীবীর আবেদন ছিল আফসারকে চেকে সই করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত সেই অনুমতি দেয়নি। সন্দীপ ও বাকি তিনজনকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।