হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার ছাড়া পেলেন আন্দোলকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। গত ১০ অক্টোবর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল বোর্ড। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অলোক ভার্মাকেও ছেড়ে দেওয়া হয় বুধবার রাতে।আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে অনিকেতের অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ চলতে থাকবে। নতুন করে উপবাস না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। তবে সামান্য শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে অলোক ভার্মাকে ছুটি দেওয়া হয়। নতুন করে তিনিও অনশনে যোগ দেননি। আরেক চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। কলকাতাতেও চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ৫ অক্টোবর থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ১৩ দিনে পড়ল এই কর্মসূচি। এ দিন ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ কর্মসূচি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দুপুর ১২টার পরে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে চারটে গাড়ি শহরের চার প্রান্তে, উল্টোডাঙা, সোদপুর, গড়়িয়াহাট এবং শ্যামবাজারে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষ তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে মতামত জানাতে পারবেন।
অনশনের দ্বাদশী, হাসপাতালে কেমন আছেন অনিকেত, তনয়া, অনুষ্টুপরা? এছাড়াও, বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনার জন্য সিনিয়র ডাক্তারদের সব সংগঠনকে চিঠি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অনলাইন মিটিং করতে চলেছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। অনশন কর্মসূচি কী ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, আরজি করের ঘটনা নিয়ে নতুন কী প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।