বাঁকুড়ার তালডাংরা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ফাল্গুনি সিংহবাবু। পেশায় শিক্ষক ফাল্গুনি এলাকায় ‘পরোপকারী’ হিসেবেই পরিচিত। তাঁর সামনে প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী ‘তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত’ অনন্যা রায় চক্রবর্তী। ফাল্গুনী বনাম অনন্যার লড়াইয়ে পাল্লা ভারী কোন পক্ষের? কী বলছে জেলা রাজনৈতিক মহল?আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। এর মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার তালডাংরা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র ছিল তৃণমূলের দখলে। লোকসভা নির্বাচনেও বাঁকুড়ায় হালে পানি পায়নি বিজেপি। সেই অঙ্কে উপনির্বাচনেও রাজ্যের শাসক দলের পাল্লা ভারী বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

তৃণমূল কর্মীদের দাবি ছিল, তালডাংরায় তাঁরা এলাকার কাউকে প্রার্থী হিসেবে চান। রবিবার রাজ্যের শাসক দলের থেকে ফাল্গুনি সিংহবাবুকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি, পেশায় শিক্ষক ফাল্গুনির ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। আপদে-বিপদে ছুটে যান মানুষের কাছে। তালদা গ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনি বর্তমানে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি।

অন্যদিকে, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী অনন্যা রায় চক্রবর্তী এবং বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। একসময় এলাকায় ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। কিন্তু গত পুরসভা নির্বাচনে শাসক দল তাঁকে প্রার্থী না করায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ‘নির্দল’ হিসেবে ভোটে লড়েন এবং জয়ী হন তিনি। এরপর তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করা হয় তৃণমূল থেকে। পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব তৃণমূল।

রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি কটাক্ষ করে বলেন, ‘অনন্যার থেকে এখনও তৃণমূলের গন্ধটাই যায়নি। শুধুমাত্র টিকিটের জন্যই ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তবে জয় নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

যদিও রাজ্য শাসক দলের কটাক্ষে আমল দিতে নারাজ বিজেপি। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের দাবি, অনন্যার প্রতি দল ভরসা রেখেছে। পুরসভা ভোটে নির্দল হয়ে লড়েও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে লড়ে জয় ছিনিয়ে আনবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version