গ্রামবাসীরা জানান, এ বছর কিশোরপুরে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে একাধিক পাকা বাড়ি নদীতে মিশেছে। খানাকুলেরই ধান্যঘেরি এলাকারও একই অবস্থা। একমাস আগে যেখানে বাড়িঘর ছিল এখন সেখানে বিশাল দিঘি। নদী গ্রাস করছে ভিটেবাড়ি, চাষের জমি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত বড় ব্যনার পরেও সরকার কোনও সাহায্য করেনি। বাঁধের কাজও হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে পোক্ত ভাবে নদীবাঁধ মেরামতের দাবিতে গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভালো করে না সারানোর কারণেই প্রত্যেক বছর বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এ বার আর জোড়াতাপ্পি দিয়ে বাঁধের কাজ করতে দেবেন না তাঁরা। স্থানীয় মানুষের দাবি, কী ভাবে বাঁধের কাজ করতে হবে, তা তাঁদের জানাতে হবে। তার পরেই তাঁরা বাঁধের কাজ করতে দেবেন। পুনর্বাসনের দাবিও জানান তাঁরা।
কিশোরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলি কোটাল বলেন, ‘গ্রামের মানুষের দাবির যুক্তি আছে। আমরা আলোচনা করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বলার পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও জানাব।’
আরামবাগ সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘সমস্ত কাজ ভালো ভাবে করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে আমরা তা লিপিবদ্ধ করছি।’