এই সময়, খানাকুল: প্রত্যেক বছর ভাঙছে জোড়াতাপ্পি দিয়ে সারানো বাঁধ। এর মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে খানাকুলের কিশোরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের। মাসখানেক আগে ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি খানাকুল। অনেকেই বাড়ি-ঘর হারিয়েছেন। এখনও পুনর্বাসন মেলেনি। বহু মানুষ আশ্রয়হীন। দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ মেরামতের কাজও হয়নি। এর মধ্যেই দুর্যোগের ভ্রুকুটিতে আতান্তরে পড়েছেন মানুষজন। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের মহিলারা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।

গ্রামবাসীরা জানান, এ বছর কিশোরপুরে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে একাধিক পাকা বাড়ি নদীতে মিশেছে। খানাকুলেরই ধান্যঘেরি এলাকারও একই অবস্থা। একমাস আগে যেখানে বাড়িঘর ছিল এখন সেখানে বিশাল দিঘি। নদী গ্রাস করছে ভিটেবাড়ি, চাষের জমি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত বড় ব্যনার পরেও সরকার কোনও সাহায্য করেনি। বাঁধের কাজও হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে পোক্ত ভাবে নদীবাঁধ মেরামতের দাবিতে গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।
Cyclone Dana: জল ভরে রাখুন, মোবাইলেও ফুল চার্জের পরামর্শ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভালো করে না সারানোর কারণেই প্রত্যেক বছর বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এ বার আর জোড়াতাপ্পি দিয়ে বাঁধের কাজ করতে দেবেন না তাঁরা। স্থানীয় মানুষের দাবি, কী ভাবে বাঁধের কাজ করতে হবে, তা তাঁদের জানাতে হবে। তার পরেই তাঁরা বাঁধের কাজ করতে দেবেন। পুনর্বাসনের দাবিও জানান তাঁরা।

কিশোরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিউলি কোটাল বলেন, ‘গ্রামের মানুষের দাবির যুক্তি আছে। আমরা আলোচনা করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বলার পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও জানাব।’

আরামবাগ সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘সমস্ত কাজ ভালো ভাবে করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে আমরা তা লিপিবদ্ধ করছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version