এই সময়, হাওড়া: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশে দু’দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে হাওড়া এবং কলকাতার মধ্যে ফেরি সার্ভিস। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট থেকে বাগবাজার, শোভাবাজার, আহিরিটোলা, গোলাবাড়ি, আর্মেনিয়ান, চাঁদপাল এবং বাবুঘাট রুটে কোনও লঞ্চ চলাচল করবে না।ঢেউয়ের দাপটে লঞ্চগুলি যাতে ভেসে না যায় তাই সেগুলিকে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির ডিরেক্টর অজয় দে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে ফের ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।’

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ঠেকাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে হাওড়া পুরনিগম। বৃষ্টির জল ছাড়াও গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গেলে হাওড়া পুরনিগম এলাকার জমা জল নামানো কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কথা মাথায় রেখেই পুর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ শিবির হিসেবে হাওড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৫-৬ টি বড় স্কুল তৈরি রাখা হয়েছে৷ শুকনো খাবার ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী ইতিমধ্যেই মজুত করা হয়েছে।

পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘পুর এলাকায় ত্রাণ শিবির ও খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে৷ পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’

ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি রয়েছে। সাফাইকর্মীদেরও ঝড়ের পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জমা জলে যাতে বিপদ না ঘটে তাই দুর্গাপুজোর যে সব প্যান্ডেল এখনও খোলা হয়নি সেগুলিও খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে, রেলের উদ্যোগে ট্রেনগুলিকে রেল ট্র্যাকের সঙ্গে বেঁধে রাখার কাজ শুরু হয়েছে বুধবারই। শালিমার স্টেশনের রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাঁধা হয় চেন-তালা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানান, ঝড়ের দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা বগি গড়িয়ে গিয়ে যাতে দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে সেই জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে রোখা যাবে রেলের সম্পত্তির ক্ষতি। প্রতিবারই ঘূর্ণিঝড়ের আগে ট্রেনের বগিগুলোর চাকায় চেন ও তালা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত দেড়শোর বেশি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছেন। এর মধ্যে বড় অংশ হাওড়া, শালিমার এবং সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ছাড়ে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য শালিমার স্টেশনে খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। ফোনের মাধ্যমে যাত্রীদের ট্রেন বাতিল সংক্রান্ত খবর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মুখোমুখি সব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২৩, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এই তিন দিন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version