দেবব্রত ঘোষ: ১৮৯৮ সালে মাঘী পূর্ণিমার দিন হাওড়ার রামকৃষ্ণপুরে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আলমবাজার থেকে ডিঙি নৌকো করে তিনি এখানে গঙ্গার ঘাটে আসেন তাঁর সন্ন্যাসীভাইদের সঙ্গে নিয়ে। সেই স্মৃতি চিরস্মরণীয় করে রাখতে তৈরি হলো সুবিশাল বিবেক তোরণ। আগামীকাল এর শুভ সূচনা করবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।
কলকাতার বাদুড়বাগানের বাসিন্দা ছিলেন নবগোপাল ঘোষ। তিনি ছিলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের আশীর্বাদধন্য। হাওড়ায় রামকৃষ্ণদেবের নাম জড়িয়ে থাকা রামকৃষ্ণপুর লেনে তিনি থাকা মনস্থ করেন। তিনি ৮১ নম্বর রামকৃষ্ণপুর লেনে ২৫ কাঠা জায়গা কেনেন। পরে নবগোপাল ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী নিস্তারিণীদেবী ওখানে বাড়ি তৈরি করিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।
১৮৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নিয়ে তিনটি ডিঙি নৌকায় রামকৃষ্ণপুর গঙ্গার ঘাটে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এখান থেকে খোল-করতাল বাজিয়ে খালি পায়ে তিনি নবগোপাল ঘোষের বাড়ি যান। সোনার কৌটোয় রামকৃষ্ণদেবের অস্থিভস্ম নিয়ে আসেন।
বার্লিন থেকে আনা একটি পট তিনি প্ৰতিষ্ঠা করেন। ধ্যানে বসেন তিনি। ধ্যানে বসে প্রথমে প্রণামমন্ত্র তৈরি করেন এই বাড়িতে।
সেইসব মুহূর্তের ১২৫ বছর উপলক্ষে বিবেকতোরণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও মন্ত্রী অরূপ রায়ের উদ্যোগে সেটি তৈরি হয়। আগামীকাল এর উদ্বোধন হবে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ-সহ মাঠের সন্ন্যাসীরা উপস্থিত থাকবেন। শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন অরূপ রায়। তিনি বলেন ঐতিহাসিক মুহূর্ত আগামীকাল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)