প্রসেনজিত্ সরদার: নেশার জন্য বাবার কাছে প্রায়শই মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করে ছেলে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাবাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে ছেলে। এমনকি বাবাকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন বাবা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং তিন রাউন্ড গুলি।

আরও পড়ুন-‘যাঁরা দাসত্বের মানসিকতা থেকে….’, মহাকুম্ভ নিয়ে এবার মুখ খুললেন মোদী!

পুলিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানার গাঁতি রেলগেট এলাকায় বাড়ি খালেক সর্দারের। ওই এলাকার একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী খালেক সর্দার। রেশনের ডিলারশিপ ছাড়াও তাঁর ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা আছে। খালেকের ৩ ছেলে মেয়ের মধ্যে ইনতাব সর্দারের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ আছে। কয়েকদিন ধরে সে তার বাবার কাছে মোটা টাকা দাবি করছিল । অভিযোগ সেই টাকা না পেয়ে নিজের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় সে। সমস্ত আসবাবপত্র এবং গাড়ি বাইক প্রভৃতি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে খালেক সরদার পুলিসকে খবর দেন এবং বাড়ির পথে রওনা দেন।

অভিযোগ, খালেক যে মুহূর্তে উঠানে পা দিয়েছেন, আচমকা সেই মুহূর্তে দোতলার ঘর থেকে ইনতাব তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খালেকের পিছন পিছন তার বাড়িতে ঢোকে ঘুটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিস। পুলিশকে দেখে চম্পট দেয় ইনতাব সরদার।

পুলিস ইনতাবের ঘরে তল্লাশি  অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শর্টার পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। রাতে গাঁতি রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে ইনতাবকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ২০১৯ সালে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি খুনের মামলায় নাম জড়িয়ে ছিল ইনতাবের। ২০২০ সালে বাসন্তী থানায় এলাকায় এক গাড়ি চালককে মারধর করে গাড়ি ছিনতাই করেছিল ইনতাব। এছাড়া বারুইপুর থানা এলাকায় ডাকাতি এবং ঘুটিয়ারি শরীফ ফাঁড়িতে মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ধৃতকে রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিসে হেফাজতের নির্দেশ দেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version