জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুরকাণ্ডে চড়ছে রাজনীতির পারদ। ‘শিক্ষামন্ত্রীর দিকে অশোভন ইঙ্গিত করা হয়েছিল’, বামেদের নিশানা করলেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। বললেন, ‘ব্রাত্য বসু অভিভাবকসুলভ আচরণ করেছেন, তিনি কিন্তু পুলিস ডাকেননি’।
আরও পড়ুন: Tangra Tripple Murder | Prasun Dey: আইনজীবী নন, ‘ফাঁসি’ চান! বিনা বিচারেই মরে যেতে চান প্রসূন…
সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল যাদবপুরে? সাংবাদিক সম্মেলনে ভিডিয়ো দেখিয়ে দেবাংশু বলেন, ‘প্রোগাম যখন চলছে, সেই প্রোগ্রাম চলতে চলতে, একদমে ভিড়ের পিছন থেকে বামেদের ছাত্র সংগঠনের সদস্য় এবং তারই সঙ্গে, হতে পারে তার মধ্যে মাওবাদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সদস্যরা রয়েছেন। অশোভনীয় ইঙ্গিত করা হচ্ছে রাজ্যের মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে। বিভিন্ন রকমের আঙুল দেখানো হচ্ছে, সেগুলি অশোভন। যেগুলি বলা যায় না, যেগুলি দেখানো যায় না। এখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। এই কাজ করার পর, তাঁরা আস্তে আস্তে এগোতে থাকলেন মঞ্চের দিকে। আমাদের মুখপাত্র প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায় তাঁদের বোঝাতে গেলেন, আমাদের প্রোগ্রামটা করতে দাও। এবং বোঝানো তাঁর কাল হল তাঁকে মারধর করা হল। ধাক্কাধাক্কি করা হল’।
এর আগে, ভাঙড়ের একটি স্কুলে এক শিক্ষিকাকে জগ ছু়ঁড়ের মারার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্যে। দেবাংশু বলেন, ‘আমার একটা সহজ প্রশ্ন, সিপিএমের বন্ধুদের কাছে, sfi-র দাদা দিদিদের কাছে। কয়েক দশক আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেসেরই কোনও এক প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে কোনও এক শিক্ষিকা, শিক্ষিকার খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সেই ঘটনা নিয়ে আমাদের বিরোধীরা ১০ থেকে ১৫ বছর পরেও আলোচনা করেন। কিন্তু আজকের দিনে আমাদের বিরোধীদের, বিশেষ করে SFI-র সদস্যদের, মহম্মদ সেলিম বা সুজন চক্রবর্তীদের অধ্যাপকদের হেনস্তা করা কথা শুনছি না। যে কাজ আরাবুল ইসলাম করেছিল, সে সময়ে নিন্দনীয় ছিল। আজকে যখন SFI-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই কাজ করল। সিপিএম, SFI অন্য বামপন্থী বন্ধুরা চুপ কেন’?
দেবাংশুর আরও বক্তব্য, ‘আমাদের মারধর করা হল, ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ঘিরে ধরা হল, এবং ব্রাত্য় বসুর গাড়িতে যখন ঘিরে ধরা হল, তখন ভিডিয়ো স্পষ্ট বলা হচ্ছে. ইট নিয়ে আয়। ইট নিয়ে আয়। চার্জ কর চার্জ কর। ইট দিয়ে ব্রাত্য় বসুর গাড়ি কাঁচ ভাঙা হয়। স্বাভাবিকভাবেই আমি গাড়ির সামনের সিটে বসে আছি। আমার সামনে কাঁচটা গর্ত হয়ে গিয়েছে। আমি জানি, এরা ইঁট নিয়ে আসছে, আমার মাথাটা ফাটাবে। আমি কি সেখানে বসে অপেক্ষা করব’?
শিক্ষামন্ত্রী পুলিস ডাকলেন না কেন? দেবাংশর ব্যাখ্যা, ‘পুলিস কী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকবে? যাদবপুরে পুলিস ঢোকা নিয়ে ২০১৪ সালে হোক কলবরের মতো একটা আন্দোলন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ব্রাত্য বসু অভিভাবকসুলভ আচরণ করেছেন, তিনি কিন্তু পুলিস ডাকেননি’।
এদিকে যাদবপুরকাণ্ডে জখম ত ইন্দ্রানুজ রায়ের খোঁজ নিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত রায় জানিয়েছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী কাল সন্ধেয় ফোন করেছিলেন। ইন্দ্রানুজের খোঁজ খবর নিয়েছেন কেমন আছে। বলেছেন, তিনি এটা চাননি। তাঁকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। ইন্দ্রানুজ বাড়ি এলে ফোনে কথা বলবেন’। যাদবপুরের KPC মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ইন্দ্রানুজ। চোখে আঘাত লেগেছে তাঁর।
SFI নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, ‘ব্রাত্য বসু, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বলতে বাধ্য হচ্ছি, অসত্য কথা বলেছেন। দেবাঞ্জনরা বিকাশভবনে দেখা করতে গিয়েছিল, অফিসে ছিলেন। দেখা তো করেনইনি, পুলিস লেলিয়ে বেধড়ক মারধর করেছিলেন SFI কর্মীদের। বিকাশ ভবনে সময় দেননি’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)