প্রদ্যুত দাস: ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গন্ডারের পরিবার। তাদের দেখা না পেয়ে ফিরতে হবে না আর কোনো পর্যটককে। ৫৫ থেকে বর্তমান তাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১। 

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট ভ্রমনস্থল গুলোর মধ্যে  অন্যতম জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যান,কারন এই গভীর জঙ্গলটি হলো বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় থাকা এক শৃঙ্গি গন্ডারের অবাধ বিচরণ ভূমি।
পর্যটকদের কাছে গরুমারা জঙ্গল ভ্রমণ মানেই অন্যান্য বন্যপ্রাণের দর্শনের সঙ্গে সঙ্গেই একশৃঙ্গী গন্ডার দর্শন, এবার সেই স্বচক্ষে গন্ডার দেখার সুযোগ বেড়ে গেল এক ধাপে প্রায় ৬ শতাংশ। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি বনদফতরের ওয়াইল্ড লাইফ শাখার পক্ষ থেকে করা এক গন্ডার গণনার পর উঠে এসেছে এই আকর্ষণীয় তথ্য।

আরও পড়ুন- Himalayan Vulture: দীর্ঘদিন পরে দেখা মিলল একঝাঁক ‘হিমালয়ান গ্রিফন ভালচারে’র! উচ্ছ্বসিত পরিবেশপ্রেমীরা…

পূর্বে এই জঙ্গলে ৫৫ টি গন্ডারের বসবাস থাকলেও সদ্য সমাপ্ত গন্ডার গণনার পর সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এই মুহূর্তে গরু মারা জাতীয় উদ্যানে শিশু সহ পূর্ন বয়স্ক গন্ডার সংখ্যা  ৬১, এই প্রসঙ্গে গরুমারা জাতীয় উদ্যান বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকরিক দ্বিজ প্রতিম সেন জানান।

একদিকে যেমন গরুমারা জাতীয় উদ্যান বেড়েছে এক শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা তার সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবারের গন্ডার গণনার পর উঠে এসেছে সেটি হলো গরু মারা জঙ্গলে এই প্রাণীটির বর্তমান লিঙ্গ ভারসাম্য, এই মুহূর্তে ১.৫৯ স্ত্রী গন্ডার প্রতি পুরুষ গন্ডার প্রতি। লিঙ্গ ভারসাম্য বৃদ্ধি পাওয়ার  একটি গুরুত্বপূর্ন দিক হচ্ছে এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রানীটির অস্তিত টিকে থাকার সম্ভবনা বৃদ্ধি। 

অন্যদিকে জলদাপাড়ার গন্ডারের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩১। তৃতীয় বৃহত্তর আবাসস্থল হয়ে উঠল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। অসমের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের পর এত সংখ্যক একশৃঙ্গ গণ্ডারের আবাসস্থল একমাত্র জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যনেই আছে বলে দাবি করেছে বনদফতর। 

আরও পড়ুন- Different type of Goat: বিস্ময়কর! ছাগলের পেটে মানুষের বাচ্চা? শোরগোল মালবাজারে…

আগে প্রতি দুবছর অন্তর অন্তর গন্ডার শুমারি হত এবং শেষ ২০২২ সালের মার্চ মাসে গন্ডার শুমারি হয়েছিল। এরপর গন্ডার শুমারি হয় ২০২৫ সালে। গত ১২ বছরে যত বারই গন্ডার শুমারি হয়েছে তাতে দেখা গেছে, ক্রমাণ্বয়ে বেড়েছে গন্ডারের সংখ্যা। 

২০১৩ সালে গরুমারা অভয়ারণ্যে গন্ডারের সংখ্যা ছিল ৪৩ তা ২০১৫ সালে বেড়ে হয় ৪৯ এবং ২০১৯ সালে তা আরও বাড়ে এবং গন্ডারের সংখ্যা ৫২তে এসে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে এই সংখ্যা আরও বেড়ে গন্ডারের সংখ্যা হয় ৫৫ আর এই বছর শুমারিতে দেখা যায় গন্ডারের সংখ্যা আরও বেড়েছে এবং এখন গন্ডারের সংখ্যা ৬১। বর্তমানে গরুমারায় স্ত্রী-পুরুষ গন্ডারের অনুপাত ১:৫৯। যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গন্ডারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি বনদফতর। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version