প্রবীর চক্রবর্তী: ‘ভারতের ধর্ষণের রাজধানী’ হিসেবে বাংলাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পর, তৃণমূল স্বভাবতই গর্জে উঠেছে। বিজেপির দাবি, শুধু জুন মাসেই, স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে কলেজ ছাত্রী পর্যন্ত অসংখ্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পরিসংখ্যান দিয়েছে বিজেপি।  কাউকেই রেহাই দেওয়া হয়নি বঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ঠিক কী কী অভিযোগ? 

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ: 

১. ধর্ষকদের রক্ষা করেছে।
২. নির্যাতিতাদের চুপ করিয়ে দিয়েছে।
৩. প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে,  কেস ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। 

বিজেপির রূদ্রমূর্তি: 

‘আমাদের মেয়েদের কান্নায় বাংলা জ্বলছে। মায়েরা তাদের সন্তানদের কলেজে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। বোনেরা যদি তাদের আওয়াজ তোলে তবে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে… বিজেপিই একমাত্র আশা। একমাত্র কণ্ঠস্বর যা ন্যায়বিচারের জন্য দাঁড়াতে এবং মিছিল করার সাহস করে…’ ইত্যাদি প্রচার করছে তাদের অফিসিয়াস হ্যাণ্ডেলে। 

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই ধরনের বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব দিতে তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে নেমেছে। 

আরও পড়ুন: Hoogly Co-operative Election: চারে চার! বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে জিতে গেল তৃণমূল, বিরোধীরা সবুজ ঝড়ে বেসামাল

তৃণমূলের অভিযোগ: 

বাংলার মাটি বাংলা নারীদের রক্ত ​​এবং অশ্রুতে ভিজে গেছে বলে দিনের পর দিন যে মিথ্যা প্রচার চাল্য়ে যাচ্ছে বিজেপি, তার কড়া জবাব দিয়েছে এবার তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাদের নকল মুখোশ খুলে ফেলার কথা বলেছেন তৃণমূলের এক্স হ্যাণ্ডেলে। ভারতে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের ৪,৪৫,২৫৬টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে – প্রতি ঘন্টায় ৫১টি ঘটনা

এক বছরে ৩১,৫১৬টি ধর্ষণ – প্রতিদিন ৮৬টি ধর্ষণ, প্রতি ১৬ মিনিটে ১টি এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার হতাশাজনক ২৭.৪%

ধর্ষণে ভারতে উল্লেখযোগ্য জায়গা: 
রাজস্থান: ৫,৩৯৯
উত্তরপ্রদেশ: ৩,৬৯০
মধ্যপ্রদেশ: ৩,০২৯
মহারাষ্ট্র: ২,৯০৪
হরিয়ানা: ১,৭৮৭
ওড়িশা: ১,৪৬৪

উপরের সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্য

এই বিজেপি দলটিই হল সেই দল যেখানে, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে সর্বাধিক সংখ্যক এবং বেশিরভাগই নির্বাচিত প্রতিনিধি অভিযুক্ত। হাথরাস থেকে উন্নাও এমনকি কাঠুয়া পর্যন্ত ধর্ষকদের সাহায্য করেছে, রক্ষা করেছে এবং জেল থেকে বেরনোর পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মালা পরিয়েছে বিলকিস বানুর ধর্ষকদের। একজন প্রমাণিত যৌন নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে একটি জোরাল প্রচার চালিয়েছে, যিনি অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছেন এবং তাদের আপত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করেছেন।

আরও পড়ুন: Kalyani Horror: কল্যাণীতে কেলেঙ্কারি! উনিশের তরুণীকে লালসায় ছিঁড়েখুঁড়ে… রক্তমাখা জামা…

অপরাজিতা ধর্ষণ বিরোধী বিল বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করেছে,যেই বিলে ধর্ষণে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার, দ্রুত তদন্ত এবং কঠোর শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বাংলায়, নারীরা সম্মানের সঙ্গে বাস করে। যখন অপরাধ ঘটে, তখন কেউই রেহাই পায় না, তারা যেই হোক না কেন। ন্যায়বিচার দ্রুত এবং আপসহীন। তাই লজ্জার ভাণ্ডারে ফিরে যান এবং বাংলাকে প্রচার করার সাহস করবেন না।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version