অর্ণবাংশু নিয়োগী: ২১ জুলাইয়ের (21 July) পুলিসি অনুমতিপত্র আদালতে পেশ করতে পারল না রাজ্য। যদিও রাজ্যের মৌখিক দাবি যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে পুলিস কমিশনারকে আরও বেশি যুক্তিসঙ্গত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এমনই মন্তব্য বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী, একুশে জুলাই সমাবেশের দিন সকাল ৮টার পর কলকাতার রাস্তায় আর কোনও মিছিল করা যাবে না৷ কোনও রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে না ৷
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: মমতার প্রশংসা করায় ক্ষুব্ধ নাড্ডা, তবে দিলীপ বলছেন, ‘খুব গল্প হয়েছে’…
বেশ কিছু রাস্তার কথা বলা আছে যেগুলো বন্ধ করলে উত্তর কলকাতা বন্ধ হয়ে যাবে, মন্তব্য বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। রাজ্যের সওয়াল, যান চলাচল বন্ধের কথা বলা হয়নি, নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। পাল্টা বিচারপতির বক্তব্য, হ্যাঁ, গাড়ি গতি কমতে কমতে শূন্য হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সওয়াল, এই সংগঠন কোনও নিরপেক্ষ সংগঠন নয়, রাজনৈতিক পরিচয় আছে।
তাদের বক্তব্য, এই দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের পুলিসের প্রত্যক্ষ মদতে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই কর্মসূচি। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও আসেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী জানায়, আমি আইনজীবী হিসাবে যোগ দেওয়ার পরে প্রত্যেক ২১ জুলাই আমি আদালতে এসেছি। কোনও অসুবিধা হয়নি। প্রচুর পুলিস মোতায়েন থাকে। সভা শেষ হয়ে গেলেও আমাদের বাড়িতে ফিরতে অসুবিধা হয় না।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মত, ফুটপাথ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিন, মানুষ যাতে রাস্তায় নামতে না পারেন। কলকাতা পুলিসের দক্ষতা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই, সেই কারণে আমি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিই না। রাজ্যের সাফাই, প্রধানমন্ত্রীর সফর, ব্রিগেডের সভাতেও একই ধরনের বিধিনিষেধ পুলিস আরোপ করে। আমাদের ট্রাফিকের অবস্থা তো মুম্বই, ব্যাঙ্গালোরের থেকে অনেক ভালো।
আদালতের নির্দেশ, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট ও অন্য অফিসের সামনের রাস্তা আটকে কোনও মিছিল বা জমায়েত করা যাবে না ৷ ১১টার পর থেকে কলকাতার যান চলাচল যাতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক থাকে, সেটা দেখার দায়িত্ব কলকাতার পুলিস কমিশনারের ৷ শাসকদলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১০ লক্ষ লোকের জমায়েত হতে পারে ওই দিন ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হল কি না, তা ২১ অগাস্ট পুলিসকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে আদালতে ৷
শুধু তাই নয়, সমাবেশের জন্য কোনও রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে না৷ হাইকোর্টমুখী রাস্তাগুলিতে যাতে কোনও যানজট সৃষ্টি না হয়, তা কলকাতা পুলিসকে নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷ শুধু তাই নয়, সভামঞ্চের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অফিস যাতায়াতের সময় যাতে কোনও যানজট না হয় এবং পথ অবরুদ্ধ না হয়ে থাকে, পুলিসকে সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি ৷ সকাল ১১ টার পর আবার মানুষ হেঁটে মিছিল করে ঢুকতে পারবে, নির্দেশ আদালতের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)