জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিনোদন দুনিয়ায় ভয়ংকর দুঃসংবাদ। অকালেই চলে গেলেন বাংলাদেশের ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট (Vocalist), বেসিস্ট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল (AK Ratul)। তিনি প্রয়াত অভিনেতা জসীমের ছেলে। ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম সংবাদমাধ্যমে জানান এই দুঃসংবাদ। মাত্র ৩৪ বছরেই প্রয়াত রাতুল। 

সিয়াম ইবনে আলম জানান, “উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাঁকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 

আরও পড়ুন- Saheb Bhattacharya on Viral Video: নেটপাড়ায় ভাইরাল অশালীন ভিডিয়ো! ‘সস্তার পাবলিসিটি করি না’, কড়া জবাব সাহেবের…

১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন জসীম। মৃত্যুর দুই যুগ পরও ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে খলনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া জসীমের। জসীমের তিন ছেলে—এ কে রাহুল, এ কে রাতুল এবং এ কে সামী। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখাননি তাঁরা, কাজ করছেন সংগীতজগতে। তিনজনই যুক্ত ব্যান্ডের সঙ্গে। এর মধ্যে রাহুল ‘ট্রেনরেক’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের ড্রামার, রাতুল ও সামী যুক্ত আছেন ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের সঙ্গে। রাতুল ওন্ড–এর ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট, সামী ড্রামার। 

তবে এ. কে. রাতুল শুধু একজন সংগীতশিল্পী নন, ছিলেন তাঁর বাবার মতোই এক নিবেদিতপ্রাণ শিল্পী। তাঁর অকালপ্রয়াণে বন্ধু, সহশিল্পী ও সংগীতপ্রেমীরা গভীর শোকে। সোমবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাঁকে—তাঁরই বাবার কবরের পাশে। 

বাবার কবরে ভাইকে শোয়ানোর পর সামাজিক মাধ্যমে শোকাবেগ ছুঁয়ে গেল হাজারো হৃদয়। ছোট ভাই এ কে সামী লিখেছেন, “আমি মাত্রই ছোট ভাইটাকে সমাহিত করে এলাম।” আর বড় ভাই এ কে রাহুলের পোস্ট আরো নীরব, কিন্তু আরো গভীর। বাবার কোলে শিশু রাতুলের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “একসঙ্গে থেকো।” 

আরও পড়ুন- Sreenanda Shankar on Mamata Shankar: ‘বংশগৌরব নয়, মানুষের চিন্তাই আসল, পরিবারকে ব্যবহার করে…’, শ্রীনন্দার নিশানায় মমতা শঙ্কর!

প্রসঙ্গত, রাতুলের বাবা জসীম ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাকশন সিনেমার অবিস্মরণীয় নায়ক। ছেলে রাতুলও শিল্প ও সৃষ্টিশীলতার ভুবনে ধীরে ধীরে নিজস্ব জায়গা করে নিচ্ছিলেন। জীবনের এমন এক মোড়ে তাঁর চলে যাওয়া সত্যিই হৃদয়বিদারক। অন্যদিকে‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভক্তদের জন্য রাতুল ছিলেন সৃষ্টিশীলতা ও নীরব প্রতিভার এক নাম। ২০১৪ সালের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’, ২০১৭ সালে ‘টু’ এবং ২০২১ সালের ইপি ‘এইটিন’—সবকিছুতেই ছিল তার নিঃশব্দ, কিন্তু অপরিহার্য ছোঁয়া। শুধু নিজ ব্যান্ড নয়, অর্থহীনের ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-১’–এর সাউন্ড ডিজাইনেও ছিল তাঁর অবদান। জসীমের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল ছিলেন মেজ। বড় ভাই সামী ‘ওন্ড’-এর ড্রামার, আর ছোট ভাই রাহুল যুক্ত ছিলেন ব্যান্ড ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’তে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version