অয়ন শর্মা: বিদেশি বিড়ম্বনায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ৭৫ বছরের মিসিহিহিরো কাতাকে নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জুলাই ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপে কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয় এই রোগী।

বুকে সংক্রমণ, আচ্ছন্ন অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাঁকে। CCU-তে এখনও চিকিৎসাধীন ওই রোগী। ধরা পড়ে পাকস্থলীতে ক্যানসার রয়েছে তাঁর। এদিকে জাপানি রোগীকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে হাসপাতালে। একদিকে ভাষাগত সমস্যা। অন্যদিকে ভিন্ন খাদ্যাভ্যাস। 

আরও পড়ুন- Al Qaeda terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুর ভিড়ে ঘাপটি মেরে আল-কায়দা! বড় নাশকতার আগেই জালে মাস্টারমাইন্ড পারভীন…

হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দ বাঙালি খাবার, ভাত ডাল মাছ তরকারি মুখে রুচছে না জাপানি রোগীর। অধিকাংশ সময়ে না খেয়ে কাটাচ্ছেন। নয়তো খাচ্ছেন শুধু ভাত। ফলে একটানা আইভি ফ্লুইড চালিয়ে সামাল দিতে হচ্ছে শরীরের ঘাটতি। রোগী চাইছেন ঘনঘন কফি। সঙ্গে চাইছেন নানা রকমের কুকিজ। যার কোনওটাই যোগান দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

বাইরে থেকে কিনে আনা সম্ভব নয়। পরিবার-পরিজন বলে কেউ নেই, যে কিনে আনবে। নেই নগদ পয়সাও। অসহায় কর্তৃপক্ষ চিঠি লিখল স্বাস্থ্য ভবনে। রোগীর পাসপোর্ট এবং পরিচয় সংক্রান্ত কোনো নথি হাসপাতালে এসে পৌঁছয়নি। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বিদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা বিনামূল্যে হয় না। এই রোগীর টাকা কে দেবে? 

আরও পড়ুন- Jaya Bachchan on Operation Sindoor: ‘যেখানে এত স্ত্রীর সিঁদুর মুছে গেল, সেখানে অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর কেন’? রাজ্যসভায় প্রশ্ন জয়া বচ্চনের…

ইতিমধ্যেই পুলিশ মারফত, দিল্লিতে জাপান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। দূতাবাসের তরফেও সদর্থক কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের। এই অবস্থায় রোগীকে নিয়ে কী করনীয়, তা জানতে স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আপাতত, পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ওই জাপানি রোগী।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version