অরূপ বসাক: মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদাবাড়ি এলাকায় আবারও তিস্তার জলে (River Teesta) বিপর্যস্ত কৃষকসমাজ। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক জল ছাড়া ও নদীর অনিয়মিত প্রবাহের কারণে প্রায় কয়েকশো বিঘে ধান রোপন করা জমি জলের তলায় চলে (Agricultural Field Flooded by River Water) গিয়েছে!

আরও পড়ুন: Asim Munir to Visit US Again: ভারতকে শুল্কগুঁতো, পাকিস্তানকে প্রেম! ‘সখা’ ট্রাম্পের কাছে ফের ছুটছেন মুনীর, একমাসে ২ বার…

তিস্তায় তলিয়ে

স্থানীয় কৃষক নাসির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘বহুবার আবেদন করার পরেও আমরা সরকারি ভাবে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। বিডিও অফিস থেকে শুরু করে মালবাজার কৃষি দফতরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি, কিন্তু আজও ফসলের ক্ষতিপূরণ পাইনি।’ তিনি দাবি করেন, গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে অনিয়মিত ভাবে জল ছাড়ার কারণেই প্রতি বছর একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 

সংসার চলবে কী করে?

অন্য এক কৃষক হরিপদ সরকার বলেন, ‘আমাদের জীবিকা একমাত্র কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। এ বছর দুই একর জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম। কিন্তু তিস্তার জল ঢুকে সব শেষ। বয়স হয়েছে, অন্য কোনো কাজের সামর্থ্য নেই। সংসারখরচ কীভাবে চলবে এখন?’

পাড় বাঁধানোর কাজ

অন্য দিকে, নেউলা বস্তি এলাকায় নদীর তীর মেরামতির কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুল হক জানান, ‘যদি সামনের দিকটা সঠিকভাবে মেরামত করা হয়, তাহলে কৃষি জমিগুলো বাঁচানো সম্ভব।’ স্থানীয় কৃষক মাহতাবুল ইসলাম ভয় প্রকাশ করে বলেন, ‘রাত হলেই ঘুম উড়ে যাচ্ছে। নদী প্রায় হাফ কিলোমিটার কৃষিজমির দিকে চলে এসেছে। আশঙ্কা করছি, আগামী দিনে জমিগুলো তিস্তায় তলিয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: Baba Vanga Predicts: বাবা ভাঙ্গা বলছেন আগামী ৬ মাস আর ফিরে তাকাতে হবে না, অপ্রত্যাশিত ভাবে কোটিপতি হবেন এঁরা…

অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ

কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক এবং নদীর ভাঙন রুখতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর কৃষিসংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব এলাকা ভিজিট করা হয়েছে এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version