কিরণ মান্না: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনীতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দলের তরফে রাজ্যর মন্ত্রী মানস ভুঁঞ্যাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানোর আগেই সভা শেষ করে দেন জেলা নেতৃত্বরা। ময়নায় পৌঁছে সভাস্থলে ফাঁকা চেয়ার আর নিস্তব্ধ পরিবেশ দেখে হতবাক মন্ত্রী।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে মানস ভুঁঞ্যা সরাসরি তোপ দাগেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি ও পাঁশকুড়া পৌরসভার প্রধান নন্দ মিশ্র-সহ একাধিক জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় দলীয় সভায় অংশ নিয়ে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকেই ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নেতারা হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে প্রচার বন্ধ করুন। সময়জ্ঞান শিখুন, শৃঙ্খলা মেনে চলুন। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি নয় —আমাদের একটাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একটা সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বাইরে কেউ নেতা নন। দলের নামে নিজের প্রচার বন্ধ করুন, নইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মানস ভুঁঞ্যার আরও স্পষ্ট বার্তা, “দলের পতাকা থাকবে, আর থাকবে শুধু মমতা ও অভিষেকের ছবি। কোন্দল নয়, ঐক্যই এখন দলের মূলমন্ত্র।”
আরও পড়ুন-TCS-Infosys নয়, এবার বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করছে নামী এই সংস্থা
আরও পড়ুন-ট্রাম্পের দেশে আর নয়! ভারতে তৈরি হচ্ছে বিশাল AI হাব, গুগল ঢালছে ₹১৩৩২০৮২৫০০
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই তমলুক সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা সভাপতি সুজিত রায় ও নেতা পার্থ সারথি দাসের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বাকযুদ্ধ, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে “কান ধরে উঠবস”-এর ভিডিও ভাইরাল হওয়া — সব মিলিয়ে উত্তাল জেলা রাজনীতি। এমনকি দলের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও উঠেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্রমবর্ধমান এই অন্দরের বিভাজন রুখতেই এবার কড়া অবস্থান নিয়েছেন মানস ভুঁঞ্যা। তাঁর বার্তা স্পষ্ট-“দলের ঐক্যই প্রাধান্য, শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে ছাড় নয়।”
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)