জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিনেমার দুনিয়ার তারকাদের জীবন বাইরে থেকে যতটা ঝলমলে হয়, আসলে অনেক তারকার জীবনের লুকিয়ে থাকে নানা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেরকমই ব্যক্তিগত কিছু সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রতি অগ্নিহোত্রী (Rati Agnihotri)। 

Add Zee News as a Preferred Source

১৯৮০-এর দশকে ‘এক দুজে কে লিয়ে’ এবং ‘কুলি’-র মতো সুপারহিট ছবির মাধ্যমে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান রতি অগ্নিহোত্রী। তবে, কেরিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থাতেই ১৯৮৫ সালে স্থপতি অনিল ভিরওয়ানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। বাইরে থেকে এই পদক্ষেপকে রূপকথার মতো মনে হলেও, এর আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক অন্ধকার বাস্তবতা, যা তিনি বহু বছর ধরে সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন  বলেই দাবি অভিনেত্রীর।

আরও পড়ুন- Akshaye Khanna Viral Dance: ‘ধুরন্ধর’ অক্ষয়, বাবা বিনোদ খান্নাকে নকল করেই ভাইরাল! রইল ভিডিয়ো…

মুম্বইয়ের ওর্লিতে বিলাসবহুল পেন্টহাউসে বসবাস করলেও, রতি অগ্নিহোত্রী নীরবেই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছিলেন। জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, বিয়ের প্রথম বছর থেকেই এই নির্যাতন শুরু হয় এবং প্রায় ৩০ বছর ধরে চলে। জনসমক্ষে এক হাসিমুখের আড়ালে তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁর গভীর যন্ত্রণা।

রতি বলেন,  প্রায়শই আমার শরীরের এমন অংশে আঘাত করা হত যেখানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যেত না। এতে ‘সুখী পরিবার’-এর মিথ্যে ধারণা বজায় রাখা সহজ হত।” কেন প্রথমেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি তিনি। উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, দুটি প্রধান কারণে তিনি এই সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন। প্রথমত, বিয়ের পবিত্রতায় তাঁর গভীর বিশ্বাস এবং দ্বিতীয়ত, বিয়ের এক বছরের মধ্যেই জন্ম নেওয়া তাঁর পুত্র তনুজ ভিরওয়ানি। ছেলের মুখ চেয়ে এবং এই আশায় যে হয়তো একদিন পরিস্থিতি বদলাবে, তিনি সব সহ্য করে যেতেন। নিজের যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে সব সহ্য করতে নিজেকে বোঝাতেন।

আরও পড়ুন- Zubeen Garg: খুন হয়েছেন জ়ুবিন? মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা বাড়ার মাঝেই ফ্যানেদের জন্য বড় খবর…

অভিনেত্রীর কথায়, সেই অন্ধকার থেকে তিনি নিজেকে বের করতে পারেন ২০১৫ সালের ৭ই মার্চে। সেদিন ছেলে তনুজ শুটিং-এর জন্য পুনেতে ছিলেন। একটি হিংসাত্মক ঘটনা তাঁকে তীব্রভাবে নাড়া দেয়। রতি বলেন, “আমার বয়স তখন ৫৪, এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আমি কেবল আরও বুড়ো এবং দুর্বল হব। একদিন এই ঘটনা আমাকে মেরেই ফেলবে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর, ১৪ই মার্চ, একাই সাহস করে থানায় যাই এবং স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করি।

মা যখন তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা প্রকাশ্যে আনলেন, তখন তনুজ ভিরওয়ানি মায়ের পাশে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। তিনি তৎক্ষণাৎ মায়ের সাথে থাকতে শুরু করেন। যদিও পরে তনুজ তাঁর বাবা-মায়ের মধ্যে মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রতি আর কখনও ওয়ার্লির সেই বাড়িতে ফিরে যাননি। তিনি লোনাভালার বাংলোয় চলে যান নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য। বিচ্ছেদের পর কয়েকটি ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম ‘হামতুম’। তবে বর্তমানে তিনি তাঁর বোন অনিতার সঙ্গে পোল্যান্ডে একটি রেস্তোরাঁ চালান আর সেখানেই বেশিরভাগ সময় কাটান। অন্যদিকে, তাঁর ছেলে তনুজ ভিরওয়ানি মুম্বইয়েই নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version